মেলার জন্য চাঁদার জুলুম। দাবি মতো চাঁদা না মেলায় রিসর্টে চড়াও তৃণমূল নেতার ভাই ও তার অনুগামীরা। প্রায় ৪০ জন যুবকের দল রীতিমতো তাণ্ডব চালায় রিসর্টে। মারধরের অভিযোগ কর্মীদেরও। পুলিশে অভিযোগ রিসর্ট মালিকের। তদন্তে নেমে তৃণমূল নেতার ভাই-সহ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হামলার অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে।
ফের দাবি মতো চাঁদা না মেলায়, ভাঙচুর-মারধর। আবারও কাঠগড়ায় রাজ্যের শাসকদল। অভিযোগ, রহড়ার একটি রিসর্ট মালিকের কাছে এলাকায় একটি মেলার জন্য ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চান তৃণমূল নেতার ভাই। তবে দাবি মতো সেই চাঁদা দিতে পারেননি রিসর্ট মালিক। তারই জেরে শনিবার রাতে ওই তৃণমূল নেতার ভাই-সহ তার অনুগামীরা চড়াও হয় রিসর্টে। রিসর্টের কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি কার্যত তাণ্ডব চালানো হয়েছে রিসর্ট জুড়ে। তাণ্ডবের সেই ছবি ধরাও পড়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে। যদিও সেই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।
এই ঘটনার পরেই রিসর্ট মালিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তৃণমূল নেতার ভাই-সহ দু'জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রিসর্ট মালিক কঞ্চন দে বলেন, '৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছিল। চাঁদা না দিলে হোটেল বন্ধ করে দেবে বলে হুমকি দেয়। আমার এখানে ভাঙচুর করেছে। কর্মীদের মারধর করেছে। আমি কোনও অন্যায় করলে ওরা থানায় যাক।'
আরও পড়ুন- ফের মতি বদল আবহাওয়ার! হালকা শীত গায়ে মেখেই কাটবে ভ্যালেন্টাইন্স ডে?
এদিকে, রিসর্টে হামলা-তাণ্ডবের অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতা রহপ আলি বলেন, 'মেলা শেষ হয়েছে। ৭ দিনের মেলায় কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। ওনার চাঁদাটা বাকি ছিল। ছেলেরা চাঁদা চাইতে গিয়েছিল। সেটা নিয়েই কিছু মনোমালিন্য হয়েছে।'
এদিকে, এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'সিনেমায় যেগুলো দেখতাম, হপ্তা উশুল করা-জোর করে টাকা নেওয়া, একদম সেই মস্তানরাজ তৃণমূলের। সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মস্তানরাজ তৈরি করেছে। অবিলম্বে দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।'
আরও পড়ুন- ‘ট্র্যাকে ফিরছেন রাজ্যপাল’, গোঁসা ছেড়ে হঠাৎ সন্তুষ্ট শুভেন্দু!
তৃণমূল সাসংদ শান্তনু সেন সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'তৃণমূল এই ধরনের কাজ সমর্থন করে না। অভিযুক্তদের পাশে তৃণমূল নেই। প্রশাসন আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে। দুর্নীতি করলে দলের কাউকেও রেয়াত করা হবে না।'