গত শুক্রবার বাংলায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা হয়েছে। যাত্রী নিয়ে পথচলা শুরু হয়েছে রবিবার থেকে। আর সোমবারই ঘটল লজ্জার ঘটনা। মালদায় হাওড়া-জলপাইগুড়ি রুটের বন্দে ওপর পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়েই মঙ্গলবার সকাল থেকে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। একে অপরের বিরুদ্ধে টিপ্পনিতে ব্যস্ত বিজেপি ও তৃণমূল। তবে নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলের তরফে ইতিমধ্যেই রেল অ্যাক্টে ইতিমধ্যেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে মালদার সামসির কুমারগঞ্জের কাছে বন্দে ভারতে পাথর হামলা হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেমি হাইস্পিড ট্রেনের সি১৩ কামরা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। হামলার জেরে ওই কোচের সেন্সর অটোমেটেড দরজা বন্ধ হতে সমস্যা হয়।
এই পাথর হামলার ঘটনা নিয়েই মঙ্গলবার সকালে টুইটে নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিরোদী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, 'দুর্ভাগ্যজনক এবং অসুস্থ। পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় ভারতের গর্ব বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া হয়েছে। উদ্বোধনের দিনে জয় শ্রী রাম স্লোগানের প্রতিশোধেই কি এই কাজ? আমি প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং রেল মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে এনআইএ-কে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় এবং দোষীদের কড়া সাজা দেওয়া হয়।' নিজের টুইট প্রধানমন্ত্রীর দফতর, রেল মন্ত্রক, এনআইএ ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে ট্যাগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
৩০ ডিসেম্বর বন্দে ভারত ট্রেন উদ্বোধনের দিন হাওড়া স্টেশনে মমতাকে উদ্দেশ্য করে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান তুলেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। 'ক্ষুব্ধ' মুখ্যমন্ত্রী এরপর আর উদ্বোধনী মঞ্চে ওঠেনি। মঞ্চের পাশ থেকেই নিজের ভক্তব্য পেশ করেছিলেন।
এদিকে তৃণমূলের পক্ষে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বন্দে ভারতে হামলার নিন্দা করেছেন। তবে এই ঘটনাকে 'পূর্বপরিকল্পিত' এবং 'উস্কে দেওয়ার পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র' বলে দাবি করেছেন। টুইটে কুণাল লিখেছেন, 'তৃণমূল বন্দে ভারত'-এ পাথর নিক্ষেপের তীব্র নিন্দা করছে। আমরা সঠিক তদন্ত দাবি করছি। ইউপিতে তিনবার একই ঘটনা ঘটেছে। এই সম্পর্কিত বিবৃতিগুলিতে ইউপিকেও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এটা কি সস্তা রাজনীতিকে উস্কে দেওয়ার পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, এর নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত।'