Ration Scam Case: বাংলার রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) আবারও বিদেশ যোগ। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) ঘনিষ্ঠ বারিক বিশ্বাসের (Barik Biswas) অফিস থেকে দুবাইয়ের (Dubai) সম্পত্তির নথি মিলেছে বলে ED সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই ইডি ডেকে পাঠিয়েছে তাঁকে। একইসঙ্গে তলব পেয়ে বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে হাজিরা দেন দেগঙ্গার তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান ও তার দাদা তথা চালকল মালিক আলিফ নূর রহমান।
বৃহস্পতিবার ED-র তলব পেয়ে হাজিরা দিতে এসেছিলেন দেগঙ্গা তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান ও তার দাদা চালকল মালিক আলিফ নূর রহমান। এই দুজনের সঙ্গেই জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের যোগ রয়েছে বলে সূত্রের দাবি। মঙ্গলবার টানা ২১ ঘন্টা দীর্ঘ তল্লাশি অভিযানের পর এদিন ব্যাঙ্ক এবং ব্যবসায়িক নথি নিয়ে তলব করা হয়েছিল দেগঙ্গার তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান ও তার দাদা চালকল মালিক আলিফ নূর রহমানকে।
সেই মতো চালকল মালিক তথা তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান ও তার দাদা আলিফ নূর বৃহস্পতিবার সকালে এসে পৌঁছে যান ইডির দফতরে। এছাড়াও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বারিক বিশ্বাসের নামও ইডির স্ক্যানারে উঠে এসেছে। তাকেও ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন সল্টলেকে ইডির দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আনিসুর রহমান বলেন, "কোনও ব্যবসার মধ্যে আমি কোনওদিনও ছিলাম না। আমি রাজনীতি করি।"
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দুরন্ত অভিযানে নেমেছিল ED। দুই ২৪ পরগনার একাধিক চালকলে হানা দিয়েছিল ইডি। একইসঙ্গে বারিক বিশ্বাসের রাজারহাটের ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি। বারিকের ফ্ল্যাটে একটানা তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নগদ ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি।
বারিক বিশ্বাসের চালকলেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেখান থেকেও একগুচ্ছ নথি উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই তল্লাশি চলে বাকিবুর রহমানের আত্মীয় আলিফ নুর ওরফে মুকুল রহমানের চালকলে। এরপরেই তিনজনকে তলব করে ইডি। তাদের মধ্যে দু'জন আজ হাজিরা দিয়েছেন ইডির দফতরে।