বেকসুর খালাস পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। শুধু অনুব্রত মণ্ডলই নন, মঙ্গলকোট মামলায় চার্জশিটে নাম থাকা মোট ১৪ জনকেই বেকসুর খালাস করেছে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত। তথ্য-প্রমাণের অভাবে এই ১৪ জনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে।
২০১০ সালের ৫ মার্চ পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় একটি বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এক সিপিএম কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। বোমার ঘায়ে ওই সিপিএম কর্মীর একটি হাত উড়ে গিয়েছিল। এরই পাশাপাশি হামলার জেরে আরও বেশ কয়েকজন বাম কর্মী জখমও হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। অনুব্রত সরাসরি এই ঘটনায় যুক্ত বলে অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন- ‘কেউ সারাজীবন জেলে থাকে না, দিদি পাশে আছে এটাই এনাফ’, ফুল কনফিডেন্ট কেষ্ট
পরে পুলিশ সেই বোমা হামলার ঘটনায় মোট ১৪ জনের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। সেই চার্জশিটে নাম ছিল গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলেরও। একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বিধাননগরে এসে এমপি-এমএলএ কোর্টে হাজিরা দিয়েছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। শুক্রবার ফের একবার সেই পুরনো মামলাতেই আদালতে হাজিরা দেন তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন- বাগুইআটিতে জোড়া খুন: অবশেষে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র
এদিন শুনানিতে আদালত জানায়, পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে মামলার চার্জশিটে নাম থাকা ১৪ জনকেই বেকসুর খালাস করা হল। বেকসুর খালাস পেয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলও। তবে এই মামলায় খালাস পেলেও গরু পাচার মামলায় জেলবন্দিই থাকতে হবে কেষ্টকে। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু আগাগোড়া কেষ্টর পাশে রয়েছেন।
এদিন তাই বেশ কনফিডেন্টই দেখিয়েছে কেষ্টকে। আসানসোল থেকে এদিন কলকাতা রওনা দেওয়ার আগে অনুব্রতর গলায় ফুটে উঠেছে আত্মবিশ্বাসের সেই সুর। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ''আমি চোর না ডাকাত, যে আমাকে সারাজীবন আটকে রাখবে। জেলে কেউ সারাজীবন থাকে না । জেল থেকে ছাড়া পায়। দিদি পাশে আছে এটাই এনাফ।''