রাজ্যে বর্তমান অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন 'মহাগুরু' মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর সাফ দাবি, রাজ্যে সিস্টেমে পচন ধরেছে। আর তাকে মেরামতের একমাত্র উপায় গণআন্দোলন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে একসময় মিঠনকে জোর গলায় বলতে শোনা যায় যে, '৬ মাসের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করলে আমি রাজ্যটাকে বদলে দেব।' স্বাভাবিকভাবেই মিঠুনের বিরুদ্ধে পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূল। তাঁকে 'বেইমান' বলে দেগে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
কী বলেছেন মিঠুন?
ইজেডসিসি-তে এবিভিপি-র এক অনুষ্ঠানে এদিন মিঠুন চক্রবর্তী চাঁচাছোলা ভাষায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন। বলেছেন, 'কোনও প্রজন্মকে শেষ করতে গেলে আগে শিক্ষাকে শেষ করো। এই মুহূর্তে রাজ্যের কোনও ভবিষ্যৎ দেখতে পাই না। রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে গেলে পরিবর্তন করতে হবে। সেটা ঠিক করবে মানুষ। আর যদি রাজনৈতিক দল বলতে বলেন, তাহলে আমি বলব বিজেপি'
স্পষ্ট বলেছেন যে বর্তমামে এ রাজ্যের অবস্থা দেখে তিনি হতাশ। তাঁর কথায়, 'মনে হয় কিছুই করতে পারছি না। আমাদের রাজ্যের গোটা সিস্টেম দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। তাই দু-চারটে কোন নেতা ধরা পড়ল তাতে কিছু যায় আসে না। যখনই সিস্টেম দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে তখনই হয়েছে গণআন্দোলন। গণআন্দোলন যেদিন হবে সেদিনই জানবেন এরাজ্যের কিছু হবে। সেজন্য সাবইকে এক হতে হবে। সেজন্য এই পার্টি করি বলে ওকে ছোঁব না, এসব করলে হবে না। কেউ বলেনি আপনি নিজের পরিচয় ভুলে আমার সাথে হাত মেলান। প্রতিবাদের – প্রতিবাদের জায়গাতে একসাথে হাত ধরতে হবে।'
'মহাগুরুর' প্রশ্ন, 'আমার প্রশ্ন, এখনও কি পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষের মধ্যে আছে? আমাদের দেশ যদি ফেডারেল গভর্নমেন্ট চালিত হয় তাহলে আপনি কেন আইন, আদালত, আদালতের রায়কে সম্মান করেন না। সংবিধান ছাড়া কোনও দেশ হতে পারে না। সংবিধান থাকলে এসব হচ্ছে কেন?'
তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলে কী করতেন? জবাবে মিঠুনের জবাব, '৬ মাসের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করলে আমি রাজ্যটাকে বদলে দেব।'
এরপরই তৃণমূলের তরফে মিঠুনকে নিশানা করা হয়েছে। টুইটে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ লিখেছেন, 'মিঠুন চক্রবর্তী সারদার টাকা নিয়েছেন, অ্যালকেমিস্ট চিট ফান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর। আরও একাধিক বিতর্কে জড়িত। গ্রেফতারি এড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া রাজ্যসভার এম পি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বেইমানি বিজেপির কথা বলা পুতুল হয়েছেন। এখন তিনি বাংলাকে অপমান করছেন, কুৎসা করছেন।'