মনোনয়ন জমা ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল বারাকপুর। প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। একজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি বারাকপুরের তৃণমূল নেতা উত্তম দাসের। উল্টোদিকে, বীজপুরের বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু রায়ের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁর গাড়ি।
এদিন বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের একাধিক আসনের প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। বারাকপুরে প্রশাসনিক ভবনের বাইরে এদিন দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। দুপুর গড়িয়েও নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু রায় মনোনয়ন পেশ করে বেরনোর সময় গাড়িতে চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। নতুন করে তৃণমূল ও বিজেপি সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এলাকা খালি করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে একজন তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি উত্তম দাসের। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, তাদের দলীয় কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এরপর রাস্তায় বন্দুক ফেলে পালায় বিজেপির কর্মী। সেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি, তাদের উপর হামলা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি চালানোর কথা স্বীকার করা হয়নি।
বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, গুলি চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এবং যিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনি জগদ্দল এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী জাভেদ বলে পরিচিত। তবে তৃণমূল সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে গুলি চালানোর জন্য বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছে। এর আগে বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী রাজ চক্রবর্তীর মনোনয়ন জমার সময় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ বেধে যায়। রাজ মহকুমা শাসকের অফিসে ঢোকার পরই দুপক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। চলে ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশের। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।