/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/kiff-mithun-kunal-amit-malviya.jpg)
বিতর্কের কেন্দ্র মহাগুরু।
বৃহস্পতিবার ঘটা করে উদ্বোধন হয়েছে ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। উদ্বোধনী মঞ্চে ছিলেন বিগ-বি অমিতাভ বচ্চন, বাদশা শাহরুখ খান, রানি মুখোপাধ্যায়রা। আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন ঘিরেও যা নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। সরব বিজেপি।
বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধন অমিত মালব্যর প্রশ্ন, 'বাংলার ছেলে সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ জানাননি। একইসঙ্গে বাংলার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি থাকা সত্ত্বেও শাহরুখ খানকে রাজ্যের মুখ হিসাবে বেছে নিয়েছেন। তিনি সবসময় সফল বাঙালিদের হেয় করেন।'
এরপাল্টা টুইটে পদ্ম শিবিরকে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, 'মিঠুনদা স্পষ্টভাবে বলেছেন যে রাজ্য সরকারের উপর তার আস্থা নেই এবং তাঁর মতে, আমাদের সরকার আর চলবে না। তাহলে আপনি ও মিঠুনদা কেন দিদি আয়োজিত কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব নিয়ে এত আগ্রহী? আপনার আগ্রহ স্পষ্টভাবে বোঝায় যে তৃণমূল বাংলায় সরকারে ছিল, আছে এবং থাকবে।'
Mithunda has clearly said that he has no confidence upon state Govt and according to him, our Govt will not continue. So why are u & Mithunda are so interested in Kolkata film fest organised by DIDI? Your interest clearly shows that @AITCofficial Govt was, is & will be in Bengal. https://t.co/GhWXdpZYOW
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) December 16, 2022
এর আগে আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনায় অমিতাভ বচ্চনের কয়েকটি মন্তব্যকে ঢাল করে তৃণমূলনেত্রীকে নিশানা করেন আমিত মালব্য। অমিতাভ বচ্চন বলেছিলেন, 'হয়তো আমার সঙ্গে সবাই একমত হবেন যে এখন নাগরিক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।'
বিগ-বির র এই মন্তব্যকে তুলে ধরে মালব্য টুইটে লেখেন, 'অমিতাভ বচ্চনের কথাগুলি এর চেয়ে বেশি যথাযথ হতে পারে না। কারণ এই কথাগুলি তিনি কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একমঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছেন। এটা হল অত্যাচারী শাসকের কাছে একটি আয়না ধরার মতো। যাঁর আমলে ভারতে ভোটের পরে সবচেয়ে বেশি রক্তক্ষয়ী হিংসার সাক্ষী থেকেছে। তিনি বাংলার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন।'
আরও পড়ুন-লক্ষ্য সুদূর, বাংলায় পদ্মের পাপড়ি মেলতে সুকান্ত-দিলীপদের সামনে কী কৌশল বাতলালেন শুভেন্দু?
যার পাল্টা তোপ দেগে তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত লেখেন, 'একটি অত্যাচারী শাসকের প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে থাকে চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ করা, সাংবাদিকদের আটক করা এবং সত্য কথা বলার জন্য সাধারণ মানুষকে শাস্তি দেওয়া। বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করার বলতে ঠিক এটাকেই বোঝায়। এই সবই বিজেপির শাসনেই ঘটেছে। আর অমিত মালব্য অন্যদেরকে দোষী বলতেই ব্যস্ত।'