TMC Brigade Janagarjan Sabha Lok Sabha Election 2024: বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগকে হাতিয়ার করেই এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের নির্বাচনী দুন্দুভি বাজাতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর, সেজন্য ২১ জুলাইয়ের রাস্তা নয়। বামেদের কায়দায় ব্রিগেডকেই মঞ্চ বানানোর জন্য বেছে নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
সন্দেশখালির আবহে রাজ্য রাজনীতি যখন উত্তপ্ত, ঠিক সেই সময় ক্ষোভের নিশানা দিল্লির দিকে ঘুরিয়ে দিতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগে রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে দিল্লির বুকে ধরনা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। পরবর্তীতে রাজভবনের সামনে এবং ধর্মতলাতেও ধরনা দেখেছেন রাজ্যবাসী। লোকসভা নির্বাচনের মুখে প্রতিবাদের সেই ধারাবাহিকতাকেই বৃহত্তর পরিসরে তুলে ধরতে চান তৃণমূল নেতৃত্ব। আর, সেজন্য তাঁরা এবার বেছে নিলেন বঙ্গ রাজনীতির চিরপরিচিত প্রতিবাদভূমি ব্রিগেড ময়দানকেই।
যার নাম দেওয়া হয়েছে, 'জনগর্জন সভা'। আগামী ১০ মার্চ এই সভা ডাকা হয়েছে। 'ইন্ডিয়া জোট' নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেই সভার প্রধান বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জোটের অন্য দলের নেতাদের সভায় যথারীতি আমন্ত্রণ জানাননি তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে একলা চলো নীতি নেবে তাঁর দল। যদিও সর্বভারতীয় স্তরে জোটের সম্ভাবনা তৃণমূল কংগ্রেস উড়িয়ে দেয়নি, সেটা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা অধীর চৌধুরীর বক্তব্যে। জোটের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে না-দিয়েই অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
তার মধ্যেই ঘোষণার পাশাপাশি, ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনগর্জন সভা নিয়ে প্রচার চালাতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে লেখা হয়েছে, '১০ মার্চ, ২০২৪- সকাল ১১টায় জনগর্জন সভা। বাংলার প্রতি লাগাতার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, রাস্তা ও একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের টাকা অন্যায়ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং বহিরাগত অত্যাচারীদের বিসর্জনের অঙ্গীকার নিতে ব্রিগেড চলো।'
এর পাশাপাশি শেখ শাহজাহান ইস্যুতেও রবিবার মুখ খোলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। তিনি বলেন, 'কে শেখ শাহজাহান? পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের মত নেতাদের বিরুদ্ধে যখন তৃণমূল কংগ্রেস ব্যবস্থা নিতে পেরেছে, তখন শেখ শাহজাহানকেও দল থেকে তাড়াতে পারে। রাজ্যের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু, আদালত শেখ শাহজাহানের ব্যাপারে রাজ্যের পুলিশকে কিছু করতে বারণ করেছে। ওটা ইডি দেখবে বলে জানিয়েছে। ইডি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত সংস্থা। সেখানে রাজ্যের কিছুই করার নেই।'
অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি ইস্যুতেও রবিবার মুখ খোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আমিও সন্দেশখালি যেতে পারি। কিন্তু, এখন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষ হোক, তারপর নিশ্চয়ই যাব।'