Satabdi Roy Angry To Face Anger While Campaigning: প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে বার বার মেজাজ হারাচ্ছেন তৃণমূলের তিনবারের সাংসদ তথা তারকা প্রার্থী শতাব্দী রায়। অনুব্রতহীন এই নির্বাচনে চড়া রোদে প্রচারে বেরিয়ে কেন এত চটছেন বিদায়ী সাংসদ?
এর আগে অধিকাংশ নির্বাচনে ভোট বৈতরণী পার করেছেন দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডলের কৌশল এবং হুঙ্কারে চওড়া হাসি হেসেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। কিন্তু এবার অনুব্রতহীন ভোটে একাই পরিশ্রম করতে হচ্ছে প্রার্থীদের। ফলে ক্ষোভের মুখে পড়ে বার বার মেজাজ হারাচ্ছেন শতাব্দী রায়।
সোমবার সাঁইথিয়ার বাতাসপুর গ্রামে ক্ষোভের মুখে পড়ে সাংবাদিকদের আঙুল উঁচিয়ে বলেছিলেন, 'ফালতু খবর করছেন।' এবার রাগ ধরে রাখতে পারলেন না রামপুরহাট বিধানসভার রামপুর পঞ্চায়েতের বাটের বাঁধ গ্রামে। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামে ঢুকলে বিজেপির পতাকা নিয়ে শতাব্দীকে দেখেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন অনুন্নয়নের কারণেই বিজেপির পতাকা ধরেছেন।
গ্রামের বাসিন্দা শেখ মইনুল বলেন, 'আমরা সবাই তৃণমূল করতাম। কিন্তু ১৫ বছরে আমাদের গ্রামের জন্য শতাব্দী রায় কোন উন্নয়ন করেননি। পানীয় জল, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটের কোন উন্নয়ন হয়নি। তাই আমরা ওনাকে বিজেপির পতাকা দেখিয়ে গ্রামে সম্বর্ধনা জানালাম।'
শেখ সাবের আলি বলেন, 'আমরা তৃণমূল করলেও কোনও উন্নয়ন হয়নি। শুধু লাথি খেয়েছি। আর একাধিক মামলায় জর্জরিত হয়েছি। সেই মামলা আজও আমাদের চালাতে হচ্ছে। গুনতে হচ্ছে মোটা টাকা। আমরা মসজিদের সামনে একটা বাতিস্তম্ভ এবং জলের ব্যবস্থা করার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।'
শতাব্দী রায় বলেন, 'মজার বিষয় হল যারা বিজেপির পতাকা ধরেছিল তাদের অধিকাংশ বাচ্চা। যারা বিজেপি, তৃণমূল বানানটাও লিখতে পারবে না। আলোর যে অভিযোগ করছে সেটা আমার কাছে জানায়নি। জানালে অবশই আলোর ব্যবস্থা করে দিতাম। আর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পতাকা ধরাটা অনেকটা প্রেমিকের সঙ্গে রাগ করে অন্য মেয়ের সঙ্গে ঘুরে জেলাসি ফিল করানোর মতো। তবে তাতে খুব একটা কাজ করবে না।' স্থানীয় নেতারা কর্মীদের গুরুত্ব দেন না, এপ্রসঙ্গে শতাব্দী বলেন, 'সবাই সম্মান আশা করে। আমার আসার আগে নেতারা কেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে বসেনি সেটা বলতে পারব না। যদি না বসে সেটা নেতাদের ভুল হয়েছে।'
বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর বলেন, 'উন্নয়নের কারণেই মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। গ্রামবাসীরা ব্যাঙ্গ করে উন্নয়নের কথা বলেছেন। গ্রামে গ্রামে শুধুই অনুন্নয়নের ছবি। এক কথায় রাজনীতিটা সিনেমা নয়। এখানে পার্ট টাইম জব করলে মানুষের উন্নয়ন করা যায় না। তাই আমি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে এসেছে। আমরাও অনুন্নয়নের তালিকা তৈরি করছি। জিতলে ওই সমস্ত এলাকা ধরে ধরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন করব।'