বিদেশে বসেও পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মনোনয়ন জমা করছেন প্রার্থী! এই অভিনব ঘটনা ঘিরেই শোরগোল কাণ্ড।
বসিরহাটের মিনাখাঁর কুমারজোলর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজি। অভিযোগ, মইনুদ্দিন সৌদি আরবে বসে বাংলার ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। যা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সিপিআইএম। এই অসম্ভব ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ককাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে সিপিআইএম। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হয়। এই ঘটনার জন্য নির্বাচন কমিশনকেই দুষেছেন বিচারপতি। মামলায় অভিবাসন দফতরকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হতে পারে।
মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, 'চিন্তা করুন, যেখানে প্রার্থীরা শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়েও মনোনয়ন জমা দিতে পারছেন না। সেখানে যিনি বিদেশে আছেন তাঁর মনোনয়ন গৃহীত হয়ে যাচ্ছে। এটা কীভাবে সম্ভব?'
আরও পড়ুন- আদালত-রাজ্যপালের গুঁতো! ২২য়ের বদলে একেবারে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি কমিশনের
রাজ্যের তরফে এদিন আদালতকে জানানো হয়েছে, তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজির তরফে তাঁর প্রস্তাবক উমর ফারুক মোল্লা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সেই উল্লেখ আইনে আছে। স্ক্রুটিনি পর্যন্ত তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তখন বিচারপতি সিনহার পালটা প্রশ্ন করেন, 'সইটা করল কে? সইয়া মইনুদ্দিনেরই আসল কিনা সেটা স্ক্রুটিনির সময় যাচাই হয়েছে?'
উভয় তরফের সওয়াল শুনে বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, কবে প্রার্থীর মনোনয়ন জমা পড়ল? কবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তাঁর নাম আপলোড হল? এই সংক্রান্ত তথ্য কমিশনকে হাইকোর্টে জানাতে হবে।
মামলাকারী আইনজীবী সলোনি ভট্টাচার্য ও শামীম আহমেদের দাবি, হজ কমিটি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ৪ জুন সৌদি আরবে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন। আগামী ১৬ জুলাই তাঁর রাজ্যে ফেরার কথা। অর্থাৎ পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগেই তৃণমূল প্রার্থী বিদেশে চলে গিয়েছেন। কিন্তু, মিনাখাঁর কুমারজোলর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মইনুদ্দিনের মনোনয়নপত্র জমা পড়ে গিয়েছে। যা নিয়েই প্রশ্ন তোলে সিপিআইএম।
বিরোধী বামেদের অভিযোগ, বিডিও, পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে শাসক দল তৃণমূলের যোগসাজশেই এই অসম্ভব কাণ্ড সম্ভব হয়েছে।