আজ 'খেলা হবে' দিবস। আজ থেকেই নয়া উদ্যমে পথে নামছে রাজ্যের শাসকদল। রাজ্যজুড়ে আজ তৃণমূলের তরফে সভা-মিছিলের আয়োজন। এসএসসি দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরু পাচার কাণ্ডে দলের দুই হেভিওয়েট নেতা গ্রেফতারের পর বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে শাসক শিবির। তবে সেই ধাক্কাকে গুরুত্ব না দিয়েই কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে মরিযা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
প্রতি বছর ১৬ অগাস্ট দিনটিকে 'খেলা হবে দিবস' পালনের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে গত শনিবার বেহালার সভা থেকে আজ 'খেলা হবে' দিবসে কর্মী-সমর্থকদের নয়া উদ্যমে পথে নামার বার্তা দিয়েছেলন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবারের ওই সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, ''১৬ অগস্ট খেলা হবে দিবস। ওই দিন থেকে খেলা শুরু হবে। মিছিল মিটিং, প্রতিবাদ প্রতিরোধ শুরু হবে। সবাই মানুষকে সাহায্য করবেন। চায়ের দোকানে, লোকের বাড়িতে যাবেন। বিজেপি দেখলেই বলবেন, সবচেয়ে বড় চোর কে! বিজেপি সিপিএম কংগ্রেস ভাই ভাই।''
আরও পড়ুন- ‘CBI এলে মমতার পাশে ববি-অরূপও থাকবে না’, তোপ শুভেন্দুর, হুঁশিয়ারি ‘ভাইপো’কেও
এসএসসি দুর্নীতিতে একদা দলের নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই শাসকদলের অস্বস্তি বাড়তে থাকে। এরপর গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারের পর সেই অস্বস্তি চরমে ওঠে। যদিও তৃণমূলের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে শনিবার কোনও কথা না বললেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু প্রকাশ্যে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল বিজেপির চক্রান্তের শিকার হয়েছেন বলেও মনে করেন মমতা।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ 'খেলা হবে' দিবস থেকেই নতুন উদ্যমে পথে নামবেন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা। জেলায়-জেলায় হবে মিটিং, মিছিল। বিরোধীদের বিরুদ্ধে এবার অলআউট প্রতিবাদে নামার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। আগামী বছরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে দুর্নীতি ইস্যুতে শাসকদলকে চেপে ধরার কৌশল বিরোধীদের। তবে সেসবে পাত্তা না দিয়ে কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে নতুন উদ্যমে ঝাঁপানোর পাল্টা ভাবনা জোড়াফুল নেতৃত্বের।