দলেরই কাউন্সিলরকে বিয়ে করতে চেয়ে 'হুমকি', নাছোড় তৃণমূল নেতার কীর্তিতে শোরগোল

শাসকদলের ওই কাউন্সিলর তাঁর এই অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন।

শাসকদলের ওই কাউন্সিলর তাঁর এই অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন।

IE Bangla Web Desk & Nilotpal Sil
New Update
Tmc councilors harassment complaint against the local Tmc leader

বাঁদিকে তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার, ডানদিকে তৃণমূল নেতা প্রতীক দে।

দলেরই কাউন্সিলরকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ এলাকারই দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে সেই বিবাদ। তরুণী কাউন্সিলর তাঁর এই অভিযোগ দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পর্যন্ত জানিয়েছেন। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। উল্টে তাঁর দলেরই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ঘটনাটি রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের।

Advertisment

এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এলাকারই তৃণমূল নেতা প্রতীক দে'র বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেছেন তিনি। পাপিয়া বলেন, "প্রতীক দে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিভিন্নভাবে আমাকে অপদস্থ করেছেন। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতীক দে ও তাঁর সঙ্গীরা আমাকে ওয়ার্ড থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমার বাড়ির সামনে গালিগালাজ করে ও আমাকে পদত্যাগ করতে বলে। আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। গভীর রাতে আমার বাড়িতে হামলার প্রমাণ আছে আমার কাছে। আমি সেই ভিডিও দলের উচ্চ নেতৃত্বকে পাঠিয়েছি। প্রতীক দে আমাকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে ভাগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। আমি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি। স্থানীয় প্রশাসনকে আমি বিষয়টি জানিয়েছি।"

যদিও কাউন্সিলরের তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা প্রতীক দে। তাঁকে ফাঁসাতেই কাউন্সিলরের এই অভিযোগ বলে পাল্টা দাবি তাঁর। এব্যাপারে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসনের তদন্তেই আস্থা রয়েছে তাঁর।

Advertisment

আরও পড়ুন- বড় অস্বস্তি অভিষেকের, আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

তৃণমূল নেতা প্রতীক দে'র কথায়, "অভিযোগ যে কেউ করতেই পারেন। ওঁর অভিযোগের কি সত্যতা আছে সেটা ওঁকেই প্রমাণ করতে হবে। দলের উচ্চ নেতৃত্ব ওঁকে ডেকেছিল উনি যাননি। দল তদন্ত করুক। আমি যে কোনও তদন্তের জন্য তৈরি আছি। আমাকে অপদস্থ করার চেষ্টা হচ্ছে। ওয়ার্ড কমিটিকে মাসে ১ লক্ষ টাকা করে পৌরমাতা তুলে দিতে বলেছিলেন। টাকা না তুলে দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি পর্যন্ত উনি দিয়েছেন। গত তিন মাস ধরে পার্টি অফিসে দলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। পার্টিকর্মীদের সঙ্গে ওঁর বিরোধিতা তৈরি হয়েছে।"

আরও পড়ুন- কমিটেড ভোটারদের মন বুঝতে মরিয়া তৃণমূল-বিজেপি, লাভের গুড় কি পিঁপড়েয় খাবে?

tmc bjp West Bengal