শোকজ আগেই করেছিল দল, এবার সেই চিঠির উত্তর না দেওয়ায় দলের কাউন্সিলররাই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল মান্না। কিছুদিন আগেই কাঁথির বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন তিনি। তবে তাঁর সেই আচরণ ভালোভাবে নেয়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। শিশির অধিকারীকে প্রণাম করার 'মাশুল' দিলেন কাঁথির তৃণমূল পুরপ্রধান, এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কাঁথি পুরসভার মোট আসন সংখ্যা ২১। তার মধ্যে ১৬ জন তৃণমূল কাউন্সিলর এদিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন।
কাঁথির সাংসদ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবাকে প্রণাম করায় সুবল মান্নার বিরুদ্ধে বেজায় চটে যায় তাঁর দল। এমনকী দলের জেলা নেতৃত্ব তাঁকে শোকজ পর্যন্ত করে। সেই শোকজ চিঠির উত্তর দেননি সুবল মান্না। এবার তাঁর বিরুদ্ধে তাই দলের উচ্চ মহলের নির্দেশে অনাস্থা আনলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা।
মঙ্গলবার কাঁথি পুরসভার ১৬ কাউন্সিলরের সম্মতিক্রমে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। এদিকে, পুরসভায় এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে জেলার রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কাঁথির পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে এই অনাস্থা নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপির কাউন্সিলররা। তাঁদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান 'কাটমানি' তুলে দিতে পারেননি বলেই তাঁর দলের নেতাদের এমন ভাবনা। এক বিজেপি কাউন্সিলরের কথায়, "আমরা ইচ্ছা করলেই বোর্ড গঠন করতে পারি। কারণ, অনেক কাউন্সিলরই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। জনগণ চাইলেই আমরা সেদিন ক্ষমতায় আসব।"
আরও পড়ুন- Leaps and Bounds: অভিষেকের লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত শুরু, হাইকোর্টে জানাল ইডি
কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি পীযূষ পন্ডা জানান, দলীয়ভাবে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছিল সুবল মান্নাকে। তিনি কোনও উত্তর দেননি। তাই রাজ্য কমিটির নির্দেশেই দলের কাউন্সিলররা অনাস্থা এনেছেন। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে দলের কাউন্সিলররা অনাস্থা আনলেও এব্যাপারে বিশদে কিছু প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি পুরপ্রধান সুবল মান্না। তিনি বলেন, "জনগণ বলবে। আমি এব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। দল যা নির্দেশ দেবে তাই হবে। এটা প্রশাসনিক পদ। যা কিছু হবে কাগজের মাধ্যমেই হবে।"