মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের একের পর এক জনমুখী প্রকল্পকে ঢাল করে ভোট-বৈতরণী পেরনোর চেষ্টায় বিজেপি-কংগ্রেস, এমনই অভিযোগ তৃণমূলের। হিমাচল প্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেস দুই দলই তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। সেই ইস্তেহারেই বাংলার একের পর এক জনমুখী প্রকল্পের আদলে প্রতিশ্রুতির 'ফুলঝুড়ি' দু-পক্ষের। যা নিয়ে এবার হাত-পদ্ম দুই শিবিরকেই তুলোধনা করে সুর চড়িয়েছে জোড়াফুল।
বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প যথেষ্ট সমাদর কুড়িয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বাধীন সরকারের সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী-সহ নানা প্রকল্প আন্তর্জাতিক খেতাব আনতেও সফল হয়েছে। রাজ্যের এই ধরনের নানা প্রকল্পের মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। আর এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই প্রকল্পের আদলেই হিমাচল প্রদেশে প্রতিশ্রুতির 'ফুলঝুড়ি' কংগ্রেস-বিজেপির, কটাক্ষের সুরে এমনই দাবি তৃণমূলের।
আ
হিমাচল প্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ইস্তেহারে বিজেপি স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। পদ্ম শিবির তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে ঘোষণা করেছে, ভোটে জিতলে রাজ্যের স্কুলগুলিতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মেয়েদের বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই ধরনের একটি প্রকল্প চালু রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। তৃণমূলের আমলে 'সবুজসাথী' নামে এই প্রকল্পটি গত কয়েক বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে রাজ্যের স্কুলগুলিতে চলছে। নবম থেকে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের বিনামূল্যে সাইকেল দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- বাংলা বোমায় উন্নতি করেনি, বোমা তৈরির ফরমুলা জানিয়ে দাবি সৌগতর
উল্টোদিকে, হিমাচলে কংগ্রেসও তৃণমূলের আমলে চালু হওয়া প্রকল্প ধার করেছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইস্তেহার করেছে হাত-শিবিরও। হিমাচলে কংগ্রেস মহিলাদের মাসিক ভাতা চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইস্তেহারে বলা হয়েছে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মহিলাদের মাসে দেড় হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। এই ধরনের একটি প্রকল্পই বাংলায় 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' নামে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে।
এরই পাশাপাশি ভোটমুখী হিমাচলে কংগ্রেসের আরও প্রতিশ্রুতি, ক্ষমতায় এলে বিদ্যুতের বিলেও ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে বাংলাতেও। সব মিলিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ, মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যতই আস্ফালন দেখাক বিজেপি-কংগ্রেস, ভোট-বৈতরণী পেরোতে তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত প্রকল্প ধার করা ছাড়া উপায় নেই দুই দলের কাছে।