অনড় অভিষেক। রাজ্যপাল কলকাতায় ফিরে তাঁদের সঙ্গে দেখা না করা পর্যন্ত ধর্না উঠবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। কলকাতায় রাজভবনের সামনে তৃণমূলের লাগাতার ধর্না আজ তৃতীয় দিনে পড়েছে। এদিকে, শনিবারই কলকাতায় পা রেখেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। তাঁর সঙ্গে দেখা করা ঘিরেই দিন কয়েক আগে উত্তাল হয় রাজধানী দিল্লি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দফতরের সামনেই টানা অবস্থান চালিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। পরে সেখান থেকে তাঁদের টেনে-হিঁচড়ে সরিয়ে দেয় পুলিশ। কলকাতায় ফিরে রাজভবনের সামনে টানা ধর্না শুরু তৃণমূলের।
লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগের সুর আরও চড়া করতে মরিয়া তৃণমূল। দলের ব্যাটন কার্যত কাঁধে তুলে লাগাতার ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় রাজভবনের সামনে তৃণমূলের এই অবস্থান আন্দোলন শনিবার তৃতীয় দিনে পড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বকেয়া রয়েছে। ওই টাকা না পেয়ে দিনের পর দিন ধরে বঞ্চিত হয়ে চলেছেন বাংলার গরিব মানুষজন। এই অভিযোগেই অনড় আন্দোলনে তৃণমূল।
এদিকে, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে নালিশ জানাতে চায় রাজ্যের শাসকদল। তবে এখনও সে সুযোগ মেলেনি। রাজ্যপাল কলকাতায় ফিরে তাঁদের সঙ্গে দেখা না করা পর্যন্ত ধর্না উঠবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। তবে শনিবার বিকেলেই তৃণমূলের তিন প্রতিনিধির সঙ্গে দার্জিলিঙের রাজভবনে বৈঠক করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
আরও পড়ুন- প্রাণের পুজো আরও জমজমাট! পঞ্চমী থেকে দশমী বাম্পার সার্ভিস মেট্রোর, জানুন সময়সূচি
যদিও রাজ্যপালের সঙ্গে দার্জিলিঙে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের বৈঠক হলেও কলকাতায় তাঁদের ধর্না কর্মসূচি এখনই উঠবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, এই আবহেই শনিবার কলকাতায় এসেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। বিজেপি সূত্রের খবর, তৃণমূলের অভিযোগ নিয়ে এবার সরাসরি সাংবাদিক বৈঠক করবেন এই বিজেপি নেত্রী।
আরও পড়ুন- ‘ঈশ্বরের’ তালিমেই দুর্গামূর্তি গড়ে চলেছেন নূর মহম্মদ, প্রাণের পুজোয় সম্প্রীতির অপরূপ ছবি
সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েকমাস আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকে হাতিয়ার করেই রাজ্য রাজনীতির আঙিনা আরও সরগরম করতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল। বিজেপি 'গরিব-বিরোধী', এই প্রচারকে আরও বেশি করে জনমানসে ছড়িয়ে দিতে চাইছে জোড়াফুল।