BJP VS TMC: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাল তৃণমূল। তাঁদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করা হয়েছে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের ফোনে কথপোকথন হয়। সেই অডিয়ো ক্লিপিং প্রচারিত হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'আমার ইচ্ছা আছে, যদি আইনি পরামর্শ পাওয়া যায়, তাহলে নতুন সরকার তৈরি হলেই, এই যে ৩ হাজার কোটি টাকা, যেটা গরীবদের, আর যাঁরা এই ধরণের টাকা ঘুষ হিসেবে দিয়েছিলেন, তাঁদের তা ফেরৎ দিয়ে দিতে চাই। আপনি (অমৃতা রায়) মানুষকে বলুন, যে মোদীজির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, আর তিনি বলেছেন যে বাংলার মানুষ বিশ্বাস রাখুন, যে ৩ হাজার কোটি টাকা ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে, সেই ৩ হাজার কোটি টাকা বাংলার গরীব মানুষের। সেটা তাঁদের ফেরত দিতে, কোনও না কোনও রাস্তা খুঁজে বের করা হবে।'
আরও পড়ুন- BJP VS TMC: মুখ্যমন্ত্রী মমতার মৃত্যু কামনা! বিস্ফোরক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, ফের কমিশনে তৃণমূল
এই কথোপকথন নিয়ে তীব্র আপত্তি রাজ্যের শাসক শিবিরের। তৃণমূলের অভিযোগ, বর্তমান আইন মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী ইডির বাজেয়াপ্ত টাকা কোনও আইনে ফেরৎ দিতে পারবেন না প্রতারিতদের। এক্ষেত্রে তাঁকে নতুন আইন প্রণোয়ন করতে হবে। সেই কথাই তিনি বুঝিয়েছেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সঙ্গে কথোপকথনে। যা আদর্শ নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের শামিল।
কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টে উস্তানির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। বুধবার কথোপকথনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে অমৃতা অভিযোগের সুরে বলেছিলেন যে, 'ওরা (তৃণমূল) আমাদের গদ্দার প্রমাণের চেষ্টা করছে। বলছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ইংরেজদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। কিন্তু নবাব সিরাজউদ্দৌলা অত্যন্ত অত্যাচারী ও দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন। সেই জন্য অনেক রাজা একসঙ্গে মিলিত হন। জগৎ শেঠ ছিলেন, আরও অনেকে ছিলেন। সকলের প্রচেষ্টায় ওই কাজ সফল হয়েছিল। যদি সেটা না হত, তাহলে আজ আমরা হিন্দু থাকতে পারতাম না। আমাদের ভাষা অন্য হত, আমাদের পোশাক একদম অন্যরকম হত, সবই অন্যরকম হয়ে যেত। আমরা অন্যের অধীনে থাকতাম।'
তৃণমূলের দাবি, এ ধরণের কথা বলে অমৃতাদেবী আসলে সাম্প্রদায়িক উস্কানির চেষ্ঠা করেছেন। যা আদতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ।
প্রধানমন্ত্রী ও অমৃতা রায়ের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার জন্য কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল।