বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে না জড়াচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্বের। জেরবার রাজ্যের শাসক দল। আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রী পদ কাড়া হয়েছে। দল থেকেও তিনি হিষ্কৃত। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় হুগলির দুই যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলীয় পদ থেকে সরানো হয়েছে। কিন্তু, ব্যতিক্রম অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচারের মত কেলেঙ্কারির দায়ে গত আগস্ট থেকে কখনও ইডি-সিবিআইয়ের হেফাতজতে, আবার কখনও আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি।
Advertisment
এতদিন অনুব্রত মণ্ডলের নাম করেই তাঁর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কেষ্ট গ্রেফতারের পরপরই গত ১৪ অগাস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে জেল থেকে বের করে আনতে হবে।' চলতি মাসে তাঁর দাবি ছিল, অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া নাকি আদতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধীদের চক্রান্ত।
'দিদি'র থেকেও অনুব্রত ইস্যুতে চড়া সুর ছিল মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। তিনি বলেছিলেন, 'বীরভূমের বাঘকে তোমরা কিছুদিনের জন্য খাঁচায় ভরে রেখেছ। সারা জীবন খাঁচায় বন্দি করতে রাখতে পারবে না। সেই বাঘ যখন আবার বেরিয়ে আসবে, আজকে যে শিয়ালগুলি হুক্কাহুয়া করছে, তারা আবার ভিতরে ঢুকে যাবে।'
গত ৭ই মার্চ অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে যায় ইডি। এতদিন ছিলেন ইডি হেফাজতে। এদিন তাঁর জেল হেফাজত মঞ্জুর হওয়ায় অনুব্রতর ঠাঁই হয়েছে তিহাড় জেলে। এরপরও কী দলীয় পদে বহাল থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল?
জবাবে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, 'এই দল সেই দল যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন মন্ত্রী, তিনি আজকে জেলে, তিনি যে দলে মহাসচিব ছিলেন তার থেকেও তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এগুলো খুব তাড়াতাড়ি করা হয়েছিল। যেখানে মন্ত্রীরকে বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেখানে জেলা সভাপতিতো ছোট ব্যাপার।'
দলীয় পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের দায় নিতে নারাজ তৃণমূল। মন্ত্রী শশী পাঁজার সাফ দাবি, 'কোনও নেতা না কর্মীর দুর্নীতির দায় দলের নয়। দল কাউকে বলেনি দুর্নীতি করতে। তারপরও কারও অভিযোগ উঠলে, তার দায় তাকেই নিতে হবে। সেই দুর্নীতির দায় দল নেবে না।'