বিদেশযাত্রার অনুমতি পেলেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে বিদেশযাত্রার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, সারদা মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর পাসপোর্টটি সিবিআইয়ের কাছেই জমা রয়েছে। জামিন মেলার ৬ বছর পর এবার বিদেশযাত্রার অনুমতি চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা। সব দিক খতিয়ে দেখে কুণাল ঘোষকে বিদেশযাত্রার অনুমতি দিয়েছে আদালত। সিবিআইকে কুণালের পাসপোর্টটি ফেরত দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা।
সারদা মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কুণাল ঘোষের পাসপোর্টটিও বর্তমানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের কাছেই জমা রয়েছে। সারদা মামলায় জামিন মেলার ৬ বছর পর এবার বিদেশ যেতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার উচ্চ আদালতে কুণালের সেই মামলারই শুনানি ছিল।
আরও পড়ুন- মারাত্মক অভিযোগ, সব কাজ ফেলে আদালতে আত্মসমর্পণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
ডিভিশন বেঞ্চ কুণাল ঘোষকে বিদেশযাত্রায় অনুমতি দিয়েছে। তবে বিদেশ থেকে ফিরে এলেই আবারও পাসপোর্টটি সিবিআইয়ের কাছেই কুণাল ঘোষকে জমা দিতে বলেছে আদালত। এদিন আদালতে কুণালের বিদেশযাত্রার বিরোধিতা করেন সিবিআই আইনজীবী। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, সারদা কেলেঙ্কারির প্রধান চক্রান্তকারীদের মধ্যে অন্যতম কুণাল ঘোষ।
সারদা দুর্নীতির তদন্ত এখনও চলছে। কোটি-কোটি টাকার এই বেআইনি কারবারের সঙ্গে একাধিক বিদেশি ব্যাঙ্কের যোগ মিলেছে। সিঙ্গাপুরের ব্যাঙ্কের নামও তদন্তে উঠে এসেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।
এর আগেও চলতি মাসের ২ জানুয়ারি কুণাল ঘোষের বিদেশযাত্রার আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চলে। কুণাল ঘোষের আবেদন পর্যালোচনা করতে ওই দিন আরও কিছুটা সময় চেয়েছিল সিবিআই। শেষমেশ এদিন কুণালের বিদেশযাত্রার বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।
আরও পড়ুন- ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’, শীর্ষ তৃণমূল নেতাকে তাচ্ছিল্য মিঠুন চক্রবর্তীর
তদন্তের স্বার্থে কুণাল ঘোষকে সিঙ্গাপুর যাওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া উচিত নয় বলে সওয়াল করেন সিবিআই আইনজীবী। যদিও ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য তাতে কর্ণপাত করেনি। সব দিক খতিয়ে দেখেই কুণাল ঘোষকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছেন বিচারপতিরা।