Sovan-Baisakhi: এবার তৃণমূলের হয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। গতকাল রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। বেশ কিছুক্ষণ শোভন ও তাণর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আড্ডা মারেন কুণাল। সংবাদমাধ্যমে এরপর শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "দিদি যেদিন সক্রিয় হতে বলবেন আমি সেদিনই সক্রিয় হব।" শোভন দলে সক্রিয় হলে তিনি খুশি হবেন বলেই জানিয়েছেন কুণাল।
গতকাল তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। শোভন-বৈশাখী দু'জনের সঙ্গেই গতকাল বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়েছেন কুণাল। রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। পরে কুণাল ঘোষ বলেন, "শোভনদা দলে ফিরবে কি ফিরবে না এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আমি কেউ নই। শোভনদা তো দিদিকে ভালোবাসেন। শোভনদা সক্রিয় হলে খুই ভালো লাগবে। সেই সিদ্ধান্তটা শোভনদা ও দিদি নেবেন। আমি বলতে পারি শোভনদা সক্রিয় হলে একসঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগবে।"
অন্যদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, "বিজেপিতে যাওয়া যে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল সেটা তো অনেকদিন আগেই বলেছি। আমি তৃণমূলী কিনা এটা যদি এখন বিচার হয়, সেটা আমার কাছে দুর্ভাগ্যজনক। শিরা-ধমনী পর্যন্ত কীভাবে তৃণমূলে আছি সেটা আমি জানি। দিদি যেদিন সক্রিয় হতে বলবেন আমি সেদিনই সক্রিয় হব।"
বাড়ি বয়ে গিয়ে কুণাল দেখা করায় আপ্লুত শোভন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কুণালের ভূয়সী প্রশংসা করে বৈশখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কুণালদার কাছে আমি ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ। শোভনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে দেখতাম, দিদিমণি খুব আদর করে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ওঁকে ডাকতেন। আজ কুণালদাই প্রথম বললেন, শোভনদা সক্রিয় হলে খুব খুশি হব।"
আরও পড়়ুন- Bengal Weather Update: বৃষ্টির সম্ভাবনা একাধিক জেলায়, দক্ষিণবঙ্গে ফের জাঁকিয়ে শীত কবে থেকে?
এরই পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রশংসা শোনা গিয়েছে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। তাঁর কথায়, "যে মুভমেন্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছেন। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে বড় হয়েছে, সে তো এই আন্দোলনের প্রতীক হয়ে দাঁড়াবে।"
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক চ্ছিন্ন করে বিজেপিতে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে বিজেপির সঙ্গে ঘর করা সম্ভব হয়নি দু'জনের। একেবারেই মানিয়ে নিতে পরেননি তাঁরা। দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁদের বনিবনা না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে দল ছেড়ে বেরিয়ে যান তাঁরা। একুশের বিধানসভা ভোটের আগেই বিজেপি ছেড়ে দেন তাঁরা।