বাঁকুড়ায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের গ্রেফতারি দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দিল্লিতে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, 'তিনটি ফুলের মত শিশু মাটির কাঁচা দেওয়াল ভেঙে মারা গিয়েছে। এর দায় কার? এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে গ্রেফতার করা উচিত। তাঁর কাছে ৩৩ লক্ষ লোকের তালিকা পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ১১ লক্ষ মানুষের আধার এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংযোগ হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার তালিকাও পাঠিয়ে দিয়েছে। তা-ও আবাসের টাকা তিনি বন্ধ করে রেখেছেন।'
অভিষেকের সঙ্গে বাংলার জন্য 'বঞ্চনা' করা অর্থ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চাইতে দিল্লি গিয়েছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মৃত তিন শিশুর পরিবার। তাঁদের দেখিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'পরিবারের শোকের দিনও এঁরা এক কাপড়ে দিল্লি যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে গিয়েছেন। এজন্য এই ভাইদের কুর্নিশ জানাই। বীরভূমের লাভপুরেও একইরকম ঘটনা ঘটেছে। শুনলাম, পূরবী হাঁসদা নামে এক বৃদ্ধাও মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন। এই ঘটনার দায় প্রধানমন্ত্রীর। এই ঘটনার দায় গিরিরাজ সিংয়ের। এই ঘটনার দায় বাংলার বিজেপি নেতাদের। তাঁদের হাতে রক্ত লেগে আছে।'
আরও পড়ুন- ‘কর্মীদের ঝুঁকিতে ঠেলে নেতারা বিমানে’, বাস দুর্ঘটনা নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুড়ি বিজেপি-তৃণমূলে
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে ইংরেজদের সঙ্গে তুলনা করে অভিষেক বলেন, 'আজ থেকে ১১২ বছর আগে দেশের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ইংরেজরা। তারপর থেকে দিল্লির কুশাসন সবাই দেখেছে। আর, বর্তমান মোদী সরকার তো সব সীমা পার করে দিয়েছে। সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি ২০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে তৈরি হবে। আর, বাংলার মানুষকে বাড়ি বানানোর জন্য দেড় লক্ষ টাকাও দিচ্ছে না। বাংলার মানুষকে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে। তাঁদের থেকে ভোট নিয়ে তাঁদের সঙ্গেই প্রতারণা করছে।'