বুধবারই তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যপাল তাঁদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দেখা না-করলে তিনি রাজভবনের সামনে থেকেই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। সেই অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার তাঁর কর্মসূচি ঘোষণাও করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যপাল তাঁর তথা তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা না-করা পর্যন্ত তিনি ধরনায় অনড় থাকবেন। রাতদিন সেই অবস্থান চলবে। রাজ্যপালের অপেক্ষায় তিনি রাজভবনের সামনেই বসে থাকবেন। শুধু অভিষেকই নন। তাঁর সঙ্গেই রাজভবনের সামনে এই ধরনায় থাকবেন তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়ক ও নেতারা। তবে, দূর থেকে আসা দলীয় কর্মী-সমর্থকরা চাইলে রাতে ফিরে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ধরনা লাগাতার চালালেও কর্মীদের জন্য ধরনা শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁকে তথা তৃণমূলের 'রাজভবন চলো' অভিযান এড়াতে উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চলে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গ থেকে তিনি আবার দিল্লিতে চলে গিয়েছেন বলেই খবর। আর, মঙ্গলবার দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলনের দিনই চলে গিয়েছিলেন নিজের রাজ্য কেরলে। আর, সেই রাতেই (মঙ্গলবার) দিল্লি থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় 'রাজভবন চলো' অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন।
বুধবার দিল্লি থেকে শহরে ফিরেই বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি 'রাজভবন চলো' কর্মসূচি অব্যাহত রাখছেন। বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের কাছে গিয়ে দিল্লির কৃষিভবনে বাংলার প্রতিনিধিদের হেনস্তা জবাব চাইবেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের কাছে অনুরোধ করবেন, কেন কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার টাকা আটকে রেখেছে, তা যেন তিনি মোদী সরকারের কাছে জানতে চান। কারণ, রাজ্যপাল হলে রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন- ‘অভিষেকের ভয়ে পালাচ্ছেন রাজ্যপাল’, মন্ত্রীর গলায় একথা শুনেই সটান জবাব বোসেরও!
সেই মত বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটে নাগাদ রবীন্দ্রসদন চত্বরের জমায়েতস্থল থেকে রাজভবনের উদ্দেশ্যে শুরু হয় তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলে বিপুল সংখ্যায় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ধরনামঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মীদের বলেন, 'কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিং আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চাননি। কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জনা জ্যোতি আমাদের দেখে মন্ত্রকের পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এবার রাজ্যপালও পালিয়ে গেলেন। বিজেপির লোকজন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন?'