রথযাত্রার সন্ধেয় মঙ্গলকোটের অঞ্চল সভাপতি খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে তৃণমূলেরই নেতা-সহ ২ জন। মঙ্গলকোটের অঞ্চল সভাপতি অসীম দাসকে ডেকে বাইক দাঁড় করিয়ে কাছ থেকে গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে শাসকদেলর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ধৃত সাবুল শেখ প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি।
বুধবার বেশ কয়েকজনকে জেরা করে সাবুল এবং তাঁর সঙ্গী সামু শেখকে গ্রেফতার করা হয়। এই খুনের ঘটনায় সিট গঠন করে পুলিশ। দুজনের বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় ওই দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অসীম দাসের পরিবার আগেই অভিযোগ করেছিল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই খুন হয়েছেন তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন রথের সন্ধ্যায় মঙ্গলকোটে শুট-আউট, নিহত তৃণমূল নেতা
এরপরই গতকাল মঙ্গলকোটের নিহত নেতার বাড়িতে যান বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এরপর খুনের ঘটনায় দলীয় যোগ অস্বীকার করে মৃতের পরিবার। আততায়ীকে খুঁজে বের করার জন্য পুলিশকে চাপ দেন অনুব্রত। বৃহস্পতিবারই আটক হওয়া সাবুল-সামুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোমবার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মঙ্গলকোট জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী-সহ অন্য তৃণমূল নেতৃত্ব মঙ্গলকোট হাসপাতালে যান। ঘটনাস্থলে ছোটেন জেলার উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তারাও। দুস্কৃতীদের খোঁজে পুলিশ পার্শ্ববর্তী জেলার সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক নজরদারি বাড়ায়। বিভিন্ন জায়গায় অভিযুক্তদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালানো শুরু করে পুলিশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন