নিহত রাজু ঝায়ের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। রাজু দুর্গাপুরে বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি সাংসদ অর্জুন, বিজেপির বর্তমান বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত 'কয়লা মাফিয়া' রাজু কী বিজেপিতে ছিলেন? এ নিয়েই শুক্রবার মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ অর্জুন সিং।
কী বললেন অর্জুন?
শুক্রবার নিহত রাজু ঝায়ের দুর্গাপুরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন অর্জুন সিং। রাজুকে পারিবারিক বন্ধু বলে দাবি করে তাঁর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও এখনও কোনও অপরাধী ধরা পড়েনি। সেই প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, 'এসআইটি-তে আস্থা রয়েছে। দোষীরা শাস্তি পাবেই। এত বড় ঘটনা পরিকল্পা করেই করা হয়েছে। ফলে তদন্তভেদে সময় তো লাগবেই।'
আরও পড়ুন- সিপিএমের সময়ে উত্থান ‘মাফিয়া’ রাজুর, একুশে যোগ দিলেও বিজেপিতে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি!
হত্যার সময় রাজুর সঙ্গে একই গাড়িতে ছিল গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে থাকা আব্দুল লতিফও। তাঁর অবশ্য গুলি লাগেনি। ভয়ঙ্কর ওই ঘটনার পর থেকেই ফেরার লতিফ। অপরাধীদের ধরতে ঝাড়খণ্ডে তল্লাশিতে সিআইডি-র বিশেষ তদন্তকারীরা। লতিফ কী এই হত্যায় জড়িত? সাংসদ অর্জুনের কথায়, 'এই হত্যাকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র লতিফ। তাই দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে লতিফকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।' অতীতে এ ধরমের বহু উদাহরণ রয়েছে বলেও দাবি করেছেন সাংসদ।
আরও পড়ুন- গ্যাংস্টারের গাড়িকে তীক্ষ্ণ অনুসরণ, সিসিটিভি ফুটেজে রাজু ঝা হত্যার তদন্তে নয়া মোড়
রাজু কী শেষ পর্যন্ত বিজেপি করতেন? জবাবে অর্জুন সিং বলেন, 'আমার আর দিলীপ হাত ধরেই রাজু বিজেপিতে এসেছিলেন রাজু ঝা। তারপরই ও অ্যারেস্ট হয়। এরপর থেকে ও আর বিজেপিটা করেনি। কিন্তু ওকে আমরা টিএমসি-তে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতাম, আর তার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে গেল।'
অর্জুন সিংয়ের দাবি প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কারোর ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতেই পারে। অর্জুন সিংয়েরও ছিল। এ ব্যাপারে বা অর্জুনের দাবি প্রসঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।'