কোমরে বন্দুক গোঁজা অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে ধরেছিল পুলিশ। তবে গ্রেফতার করা হলেও মুর্শিদাবাদের ডোমকলের সারাংপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে হেফাজতেই চাইল না পুলিশ। গতকাল ডোমকলে কোমরে পিস্তল গুঁজে বিডিও অফিসে 'পাহারা' দিচ্ছিলেন সারাংপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি বাসির মোল্লা। সেই সময় সেখানে পুলিশ গেলে তিনি ধরা পড়ে যান। তবে প্রথমে পুলিশ তাঁকে পলানোর পরামর্শ দিয়েছিল বলে অভিযোগ। শেষমেশ প্রথম আটক ও পরে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার।
কোমরে পিস্তল নিয়ে বিডিও অফিসে পাহারা। উদ্দেশ্য, বিরোধীদের মনেনায়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া। গতকাল ডোমকল বিডিও অফিসে বিরোধীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে উত্তেজনা তৈরি হয়। সেই সময়ে ঘটনাস্থলেই ছিলেন সারাংপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি বাসির মোল্লা। তাঁর কোমরে পিস্তল গোঁজা ছিল। প্রথমটায় পুলিশ তাঁকে এলাকা ছেড়ে পালানোর পরামর্শ দেয়। তবে শেষমেশ তাঁকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন- ‘মহিলার হাতের অর্ধেক কেটে দিয়েছে, গরু-ছাগলের লেজও ছাড়েনি’, মারাত্মক অভিযোগ অধীরের
শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার বলে দেখানো হয়। পরে রবিবার আদালতে তোলার সময় ধৃতকে হেফাজতেই চাইল না পুলিশ। বেআইনি অস্ত্র মজুতের মাত্র একটি ধারায় মামলা করেই ক্ষান্ত থাকল পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার বিরোধীরা। 'তৃণমূলের গুণ্ডাদের আড়াল করতেই ব্যস্ত পুলিশ', সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া সিপিএম নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি বলেন, 'মানুষের বিশ্বাস হারাচ্ছে পক্ষপাতদুষ্ট পুলিশ।'