TMC Inner Conflict: বিরাট খবর! আদালতের নজিরবিহীন রায়,পুলিশি হেফাজতে তৃণমূলের তাবড় নেতারা

TMC Leader Arrested: বিরাট খবর! আদালতের নজিরবিহীন রায়,পুলিশি হেফাজতে তৃণমূলের তাবড় নেতারা। ভোটের আগে বড় বিপাকে শাসক শিবির। আদালতের বিরাট নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে তৃণমূলের ১৩ নেতা-নেত্রী

TMC Leader Arrested: বিরাট খবর! আদালতের নজিরবিহীন রায়,পুলিশি হেফাজতে তৃণমূলের তাবড় নেতারা। ভোটের আগে বড় বিপাকে শাসক শিবির। আদালতের বিরাট নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে তৃণমূলের ১৩ নেতা-নেত্রী

author-image
Pradip Kumar Chattopadhyay
New Update
TMC Inner Conflict

ভোটের আগে বড় বিপাকে শাসক শিবির Photograph: (ফাইল)

Purba Bardhaman News: আদালতের নির্দেশে পুলিশের হাতে বন্দি তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের পুরানো মামলায় নাম জড়ানো বর্ধমানের তাবড় তৃণমূল নেতা নেত্রীরা। সোমবার বর্ধমান আদালতের ফাস্ট ট্রাক সেকেণ্ড কোর্টের বিচারক বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান ১ ব্লকের সভাপতি কাকলী তা গুপ্ত এবং যুব নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য সহ ১৩ জনকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন পুলিশকে। ঘটনা জানাজানি হতেই এদিন বিকালে বর্ধমান আদালত চত্ত্বরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যাায় । মঙ্গলবার এই মামলায় চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবে আদালত। 

Advertisment

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছিল পূর্ব বর্ধমানের নাড়ীগ্রাম দাস পাড়ায়। সংঘর্ষে তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য জীবন পালের বাবা দেবু পাল গুরুতর জখম হন। তা নিয়ে দেবু পালের স্ত্রী সন্ধ্যারাণী পাল ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সন্ধ্যারাণীর অভিযোগ ছিল,“শাসকদলের ক্ষমতাসীন নেতারা বেধড়ক মার মেরে তাঁর স্বামী দেবু পালের বাবার চোখে নষ্ট করে দিয়েছে"। সেই থেকে এই মামলা বর্ধমান আদালতে বিচারাধীন ছিল। সোমবার বর্ধমান আদালতের ফাস্ট ট্রাক সেকেণ্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র এই মামলায় ১৩ জনকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছে দু’জন। আদালতের এদিনের নির্দেশ অনুযায়ী এই মামলায় সাব্যস্ত হয়েছেন,“কাকলী তা গুপ্ত, মানস ভট্টাচার্য, অঞ্চল সভাপতি শেখ জামাল, রায়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক বাগ সহ আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীর। আদালতের এই রায় আলোড়ন ফেলে দিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল শিবিরে। বিধায়ক সহ দলের নেতা,কর্মীরা আদালতে ছুটে আসেন। সরকারি আইনজীবী হরিদাস মুখোপাধ্যায় জানান, আদালত এঁদের সকলকেই পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার এই মামলার সাজা ঘোষণা। 

অপরদিকে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস এবং কমল দত্ত বলেন,“এই মামলায় তেমন কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই। তবুও কীভাবে আদালত এই নির্দেশ দিলেন সেটাই আশ্চর্যের। আমরাও অবাক হয়েছি। আগামীকাল সাজা ঘোষণার পর আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব“। এই বিষয়ে সাবধানী মন্তব্য করেছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তিনি বলেন, “আদালতের বিষয়, না জেনে কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়“।জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন,“ নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলেই এখন বন্দি তৃণমূলের তাবড় নেতা নেত্রীরা । এর থেকে বড় লজ্জার আর কি বা হতে পারে“।

 

Advertisment

 

tmc burdwan