সিপিএম কর্মী প্রবীর মাহাতো খুনের ঘটনায় ধৃত তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতোকে ২ দিন NIA হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। ৩০ মার্চ ফের আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে। এদিন এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ প্রসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানির দিন ধৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিললে তদন্তকারীরা দায়ী থাকবেন তার জন্য।
প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলে ভোট মিটতেই ছত্রধর মাহাতোকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করে এনআইএ। রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণ ও ২০০৯ সালে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতোকে খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছত্রধর মাহাতো। ২০০৯ সালে রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণ মামলায় UAPA আইনে ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ।
ঝাড়গ্রামের বাঁশতলায় ১২ বছর আগে রাজধানী এক্সপ্রেসে মাওবাদী হামলার ঘটনায় নাম জড়ায় ছত্রধরের। সেই মামলাতেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও বেআইনি কার্যকলাপ বিরোধী আইন বা UAPA-তে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানী এক্সপ্রেস মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এর আগে এনআইএ-র তরফে একাধিকবার ছত্রধরকে তলব করা হয়। কিন্তু ছত্রধর তদন্তকারী সংস্থার সামনে হাজির হননি।
অভিযোগ, বারবারই শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। শেষবার ভোটের কাজে ব্যস্ততার জন্য যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা ছত্রধর। অথচ বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় তাঁকে। এরপরই দিন তিনেক আগে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে তাঁকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়। ছত্রধরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
জানা গিয়েছে, সেই নির্দেশও অমান্য করেন তৃণমূল নেতা। তারপরই শনিবার মধ্যরাতে এনআইএ ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার করে। এদিকে, ছত্রধরের স্ত্রী নিয়তি ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। তাঁর অভিযোগ, স্বামী বিজেপি করেনি বলেই এনআইএ তুলে নিয়ে গেছে। কেন এভাবে গ্রেপ্তার করা হল ছত্রধরকে, সে বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে তিনি।