হাওড়ায় হিংসার প্রতিবাদে আগামী এক সপ্তাহ গান্ধিমূর্তি পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ করবে বিজেপি। রবিবার হাওড়া যাওয়ার পথে কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি আটকায় পুলিশ। প্রায় ২ ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান বিরোধী দলনেতা। তার পর রণে ভঙ্গ দেয় পুলিশ। শুভেন্দুও চলে আসেন কলকাতায়। ধর্মতলায় গান্ধিমূর্তির পাদদেশে এরপর অবস্থান বিক্ষোভে বসেন শুভেন্দুর নেতৃত্বে নেতা-বিধায়করা।
Advertisment
এদিন শুভেন্দুকে হাওড়া যেতে বাধা দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহল সরগরম ছিল। শুভেন্দুকে সাম্প্রদায়িক বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরে একটি কর্মসূচিতে শুভেন্দুকে দেবাংশুর কটাক্ষ, "ওনাকে পুলিশ আটকেছে কারণ উনি দাঙ্গা বাঁধাতে যাচ্ছিলেন নিশ্চয়ই। ওঁর মতো সাম্প্রদায়িক লোককে ঘর থেকে বেরোতে দেওয়া উচিত নয়।"
দেবাংশু আরও বলেন, "যখন তিনসুকিয়ায় বাঙালিদের মেরে দেওয়া হয়, হাথরসে, জাহাঙ্গিরপুরীতে তৃণমূলকে যেতে আটকানো হয়। ওঁরা বগটুই, হাঁসখালি সর্বত্র ঘুরে বেরিয়েছে। এখন দাঙ্গা বাঁধাতে যাচ্ছিলেন তাই পুলিশ আটকেছে। ওঁকে ঘর থেকেই বেরোতে দেওয়া উচিত না।"
এদিন গান্ধিমূর্তির পাদদেশ থেকে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, "বাংলায় অশান্তি করেছে রোহিঙ্গারা। এরা সবাই আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিতে ওরা তাণ্ডব করেছে।" এদিন অগণতান্ত্রিকভাবে পুলিশ তাঁকে আটকেছে বলে সরব হন শুভেন্দু। মুখ্যসিচব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। এমনকী চিঠির সেই কপি তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও পাঠিয়েছেন।
এদিকে, আজ ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দার বাড়িতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দিতেই তমলুকের রাধামণি এলাকায় তাঁর কনভয় আটকায় পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী জড়ো হয়ে যায় শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের সামনে।