Again Kunal Ghosh Praised BJP Candidate Tapas Roy: কলকাতায় লোকসভা ভোটের বাকি আর ঠিক একমাস। তার আগে অবাক করা ছবি। স্থান কলকাতা পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি রক্তদান শিবিরের মঞ্চ। বুধবার সেখানেই দেখা গেল, উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় এবং তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ! সঙ্গে উত্তর কলকাতার বিজেপি সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ।
এই মঞ্চেই পদ্ম প্রার্থীর প্রশংসা করলেন কুণাল ঘোষ। মুখে আনলেও দলের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুনাম শোনা গেল না তৃণমূল মুখপাত্রের নামে। কথা বললেন ছাপ্পা ভোটের বিরুদ্ধে। হঠাৎ কেন প্রতিপক্ষ শিবিরের প্রার্থীর এত নামগান? কুণালের পাল্টা প্রশ্ন, 'দেব যদি মিঠুন চক্রবর্তীকে বাবার মত বলে দরাজ সৌজন্য দেখাতে পারে তাহলে আমি খারপ কি বলেছি?'
রক্তদান শিবিরের মঞ্চে এ দিন যখন কুণাল বক্তৃতা করতে ওঠেন তখন পাশেই চেয়ারে বসে বিজেপির তাপস ও তমোঘ্ন। বক্তৃতায় কুণাল বলেন, 'জনপ্রতিনিধি তাপস রায়ের সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। উনি যত দিন জনপ্রতিনিধি ছিলেন, তত দিন মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন। দিন-রাত তাঁর দরজা মানুষের জন্য খোলা থাকত। মানুষ যখন তাঁকে ডেকেছেন তখন পেয়েছেন।'
এরপরেF কুণাল বলেন, 'আমরা তাপস রায়কে এক পরিবারে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য, পারিনি। আজকে উনি প্রার্থী। কিন্তু অন্য দলের। আমাদের দলের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা আমাদের দলের প্রার্থীর জন্য কাজ করব। তাপসদার দলের কর্মীরা তাঁর জন্য কাজ করবেন।'
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: ‘রাজনীতি ছেড়ে গরু চড়াও!’, মেজাজ হারিয়ে দলের কর্মীদের বকাঝকা দিলীপের, কী এমন হল?
এখানেই থামেননি এই তৃণমূল নেতা। তারপরও বলেন, 'এখানে কোনও ছাপ্পা ভোট হবে না। যাঁর ভোট তাঁকে দিতে দিন। মানুষ ঠিক করে নিন, কে প্রকৃত প্রার্থী। যদি কোথাও কোনও ছাপ্পা হয়, জেনে রেখে দেবেন তৃণমূল নেতৃত্বই বারণ করবে, কোনও অবস্থায়, কোনও বুথে মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একটা ভোটও যেন না পড়ে।'
মঞ্চ থেকে নেমে অবশ্য কুণাল ঘোষ স্পষ্ট করে দেন যে উত্তর কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং দলের সকলেই তাঁকে জেতানোর কথাই বলছেন।
প্রচারে সুদীপের সঙ্গে এক গাড়িতে দেখা গিয়েছে কুণালকে। কিন্তু, তার আগে এই সুদীপকে নিয়েই কটাক্ষ ছুড়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র। তাঁকে বিজেপির 'দ্বিতীয় প্রার্থী' বলে তোপ দেগেছিলেন। পরে সাংসদের বাড়িতে যান কুণাল ঘোষ। সমস্যা আর মাথাচাড়া দেয়নি। কিন্তু, বুধবার সকালে কুণালের মন্তব্যের পর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাতে দলীয় মুখপাত্রের ভূমিকা নিয়ে নয়া জল্পনা তৈরি হল।