তিন বছরে ১০ লাখ বৃদ্ধি, সাত বছরে ৭ লাখ হ্রাস। কোন 'জাদু'তে কাঁথির সাংসদ তথা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীর সম্পত্তির পরিমাণের এই ওঠানাম? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল! নির্বাচন কমিশন এবং ভারত সরকারকে দেওয়া শিশিরবাবুর বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরে এক্স হ্যান্ডেলে এই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি বিগত কয়েক বছরে তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরেছেন। এইসব পরিসংখ্যান নির্বাচন কমিশন এবং ভারত সরকারকে কাঁথির সাংসদ দিয়েছেন বলে দাবি কুণালের। সোশাল মিডিয়ায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের দাবি, ২০০৯ সালে সাংসদ হিসেবে শিশির অধিকারী নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিলেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১০ লাখ টাকার কিছু বেশি। তিন বছরের ব্যবধানে, ভারত সরকারকে জমা দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে শিশিরবাবুর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটির কিছু বেশি। তখন তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ফের ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় কমিশনকে জমা দেওয়া শিশিরবাবুর তথ্য অনুযায়ী তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটির কিছু বেশি।
এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, 'প্রশ্ন: তথ্য ঠিক না ভুল? ১০ লাখ তিন বছরে ১০ কোটি হল কী করে? ১০ কোটি কী করে কমে ৩ কোটি হল? এটা কোন জাদু?'
কুণালের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী বলেছেন, 'কুণাল জেল খাটা আসামী। ওঁর কোনও কথার উত্তর আমি দেব না। আমার মত ভদ্রলোকের ওঁর কথার উত্তর দেওয়া উচিত নয়। আমি ৬৪ সাল থেকে ইন্কাম ট্যাক জমা করি। ওখান থেকেই সব জেনেনিন।'
শুক্রবার বিকেলে কুণাল ঘোষ হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, 'বাংলার মানুষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধিকারীদের সম্পত্তির হিসেবে গরমিল, সন্দেহজনক ব্যাপার যা যা আছে, সেসব জানতে পারবেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধিকারী ব্রাদার্স, অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের আর্থিক দুর্নীতি সামনে আসবে। সব কিছুর উত্তর দিতে হবে।' কে বা কারা সেই দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনবে? তা অবশ্য খোলসা করেননি তিনি। সেই ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার আগেইবিগত ১৪ বছরে শিশির অধিকারীর সম্পত্তির ওঠা-নামা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ।
উল্লেখ্য, গত বুধবার নাম না করে অধিকারী পরিবারের সম্পত্তির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন যে, 'কেঁচো খুড়তে কেউটে বেরিয়ে আসবে।' যার জবাবে শুভেন্দু অধিকারী নিজের আয়কর রিটার্নের নথি সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছিলেন।