Advertisment

আমডাঙায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান খুন, মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধে সাংঘাতিক অভিযোগ দিলীপের

জয়নগরের পর এবার আমডাঙা। ফের খুন তৃণমূল নেতা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sandeshkhali meeting on 18th february postponed by tmc , সন্দেশখালিতে তৃণমূলের সভা পিছল।

একাধিক দলীয় নেতৃত্ব ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতি অভিযোগ, তার মধ্যেই তৃণমূলের কাঁটা হয়ে বিঁধছে সন্দেশখালি।

জয়নগরের পর এবার আমডাঙা। ফের খুন তৃণমূল নেতা। এবার আমডাঙার পঞ্চায়েত প্রধান তথা এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতাকে বোমা মেরে খুন দুষ্কৃতীদের। জয়নগরের ঘটনার রেশ এখনও টাটকা। তারই কয়েকদিনের মাথায় ফের দুষ্কৃতী হামলার শিকার তৃণমূল নেতা। আমডাঙায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ্য করে চলে বোমাবাজি। ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। পরে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা রূপচাঁদ মণ্ডলের। এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনকেই একহাত নিয়েছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন ডাকাবুকো এই বিজেপি নেতা।

Advertisment

জয়নগরের বামনগাছির তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর খুনের পর কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই ফের দুষ্কৃতীদের রোষের বলি তৃণমূল নেতা। এবার উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় বোমা মেরে খুন করা হল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডলকে। গতকাল সন্ধেয় আমডাঙার কামদেবপুর হাটে গিয়েছিলেন রূপচাঁদ মণ্ডল। তখনই তাঁকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে চম্পট দেয় তাঁরা। বোমার আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রূপচাঁদ। প্রথমে তাঁকে স্থানীয়রাই আমডাঙা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতিতে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

কে বা কারা তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে বোমাবাজি করল, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে এই খুন নিয়ে চাপানউতোর তুঙ্গে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ রাজ্যের প্রশাসনকেই তুলোধনা করেছেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি।

দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, "এগুলো তো পার্টির কাজ নয়। রাজনৈতিক কর্মীরা মানুষের কাছে যায় না। মানুষকে পিটিয়ে মারা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ক্রমশ পাকিস্তান আফগানিস্তানের মতো হয়ে যাচ্ছে। এখানে কেউ সুরক্ষিত নয়। প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে। কেউ বিরোধিতা করলে, তাকে রেয়াত করা হচ্ছে না। প্রশাসন কোথায়? আইন শৃঙ্খলা কোথায়? সরকার কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী ২ মাস ধরে বাড়িতে বসে আছেন। তিনি চালাতে পারছেন না। অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। ভাইপোকে দিয়ে দিন। রিজাইন করুন। পুলিশ মন্ত্রী অন্য কাউকে করুন। পারবেন না, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কি ওনাকে ভোট দিয়ে ভুল করেছে?"

tmc Murder West Bengal North 24 Pargana
Advertisment