নন্দীগ্রামের পর এবার দেগঙ্গা। আগামী পাঁচ বছরের জন্য পঞ্চায়েতে দলের জয়ী প্রার্থীদের শংসাপত্র জমা রাখার ফরমান জারি তৃণমূল ব্লক সভাপতির। একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় খোদ তৃণমূল ব্লক সভাপতির এই ফরমান দেওয়া ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মাধ্যমে। যা ঘিরে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিরোধীরা। তবে বিষয়টিকে ফরমান হিসেবে দেখতে রাজি নয় তৃণমূল। জনতার কাছে দায়বদ্ধতা ধরে রাখতেই এই প্রয়াস বলে জানিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা।
নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী প্রার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছে তৃণমূল। দলে ভাঙনের আশঙ্কাতেই শাসকদলের এই উদ্যোগ বলে গুঞ্জন। নন্দীগ্রামের খেদামবাড়ি ১ পঞ্চায়েতের সেই শপথবাক্য পাঠ করানোর ভিডিও ভাইরাল হতেই তুমুল চর্চা ছড়ায়। এবার সেই একই আশঙ্কা থেকে পঞ্চায়েতে জয়ী প্রার্থীদের শংসাপত্র আগামী পাঁচ বছরের জন্য দলের কাছে জমার রাখার ফরমান জারি তৃণমূল ব্লক সভাপতির।
আরও পড়ুন- ‘কালীঘাটের কাকু’র এ কীর্তি জানলে চোখ কপালে উঠবে! ‘সব জেনে’ ভিরমি খাচ্ছে ইডি!
উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সভা-মঞ্চে দেগঙ্গার তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমানের একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিও-টির সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। সেই ভিডিও-য় তৃণমূল নেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, জয়ী প্রার্থীদের পাঁচ বছরের জন্য তাঁদের শংসাপত্র দলের কাছে জমা রাখতে হবে।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত-হিংসার ভীষণ আঁচে তপ্ত সংসদ! অভিনব প্রতিবাদে তোলপাড় ফেলল বিজেপি
এই ভিডিও-টি ভাইরাল হতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিরোধীরা। তৃণমূল নেতার এই ফরমানের তুমুল সমালোচনা করেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান নিজে কিন্তু দলের জয়ী প্রার্থীদের শংসাপত্র জমার ফরমানটিকে স্বভাবিক ঘটনা হিসেবেই দেখতে চাইছেন। তাঁর কথায়, 'আগামী পাঁচ বছর দল জয়ী প্রার্থীদের শংসাপত্র রেখে দেবে। কোনও দলবদলের ব্যাপার নেই। জনগণ তাঁদের নির্বাচিত করেছেন। তাঁদেরও মানুষকে রিটার্ন দিতে হবে। পাঁচ বছর জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। প্রার্থীদের দায়বদ্ধতা ঠিক রাখতেই এই প্রয়াস।'