রাজ্যের প্রাক্তন তৃণমূল কর্মী পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। মৃত ঘোষণা করার পরও হৃদস্পন্দন মেলায় তাঁকে ফের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। শুক্রবার সকালেই আমরি হাসপাতালের চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন তাঁকে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে, বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর পারিবারিক চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে জানান, পঙ্কজবাবুর হৃদস্পন্দন তখনও চলছে, তবে তা অতি ক্ষীণ। এরপরই তড়িঘড়ি তাঁকে ফের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পরীক্ষার জন্য। এর পরেও জানা গিয়েছিল, কোমায় রয়েছেন পঙ্কজবাবু, অর্থাৎ প্রথমবারের মৃত্যু সংবাদ সঠিক নয়। তবে সন্ধে নাগাদ হাসপাতালেই মারা যান তিনি, এবং দিনভর নাটকের ওপর ঘটে যবনিকা পতন। তৃণমূল কংগ্রেসের সিদ্ধান্তে শুক্রবার বর্ষীয়ান নেতার মরদেহ রাখা থাকবে পিস হেভেনে ।
আরও পড়ুন: নাগেশ্বরের নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা কেড়ে অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে সিভিসি-কে ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
পঙ্কজবাবুর মৃত্যুর খবরে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমে আসে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাস, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়-সহ ফের একের পর এক তৃণমূল নেতা পঙ্কজবাবুর বাড়িতে পৌঁছেছেন তাঁর মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর। শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এবং কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীও। প্রাক্তন রাজনৈতিক সঙ্গী এবং পথপ্রদর্শকের মৃত্যুর খবরে টুইটারে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টুইটারে তিনি লেখেন, "তৃণমূলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পঙ্কজ (দা) বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর পরিবারের প্রতি আমি শোকজ্ঞাপন করছি।" বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায় তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন ''বাংলার রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হল'' তবে ধোঁয়াশা ছড়ানোর পরই মুখ্যমন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে মুছে ফেলা হয় সেই প্রথম টুইট। তখনও বেঁচে ছিলেন পঙ্কজবাবু।
প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের হয়ে প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হন পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। ২০০৬ সালের পর রাজনৈতিক জগৎ থেকে স্বেচ্ছাবসর নেন পঙ্কজবাবু।