ফের নৃশংসতার বলি তৃণমূল নেতা। রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন তৃণমূল নেতাকে। তাঁকে ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের কোপ। উপর্যুপরি হামলায় মৃত্যু শাসকদলের ওই নেতার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। বিজেপি ও সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই দলের নেতাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার বিরোধীদের।
বারুইপুরের বলবনে কুপিয়ে খুন তৃণমূল নেতা সইদুল শেখকে। নিহত সইদুল শেখ পেশায় গাড়িচালক। গতকাল রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। মাঠে ফেলে তাঁকে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়রাই গুরুতর জখম অবস্থায় বারুইপুর হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন। রবিবার ভোররাতে হাসপাতালে মৃত্যু তৃণমূল নেতার।
রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে যায় বারুইপুর থানার পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ স্থানীয় সাগির, আজিজুল, সাদ্দাম, কালো-সহ বেশ কয়েকজন পিটিয়ে মেরেছে সইদুলকে। নিহতের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আজিজা শেখ বলেন, "গতকাল রাতে ওঁকে ইচ্ছেমতো ফেলে মেরেছে। ওঁর স্ত্রী ছুটে এসে ওদের হাতে পায়ে ধরেছে। ওরা পরিকল্পনা করে খুন করেছে। হাঁসুয়ার কোপ মেরেছে। লাঠি-রড দিয়েও মেরেছে।"
আরও পড়ুন- বিরাট বিড়ম্বনায় শুভেন্দু? সভার আগের দিনেই ‘চোর’ লেখা পোস্টারে ছেয়ে গেল এলাকা
এদিকে, নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে বিজেপি ও সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা যুক্ত বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের। বারুইপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি গৌতম দাস বলেন, "পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই ওকে মেরে ফেলার ছক করছিল। সিপিএম-বিজেপি মিলেমিশে প্ল্যান করেছিল। গতকাল সন্ধেয় ওকে মাঠে ডেকে নিয়ে খুন করেছে। বিজেপি-সিপিএম যৌথভাবে এই কাজটা করেছে।"
আরও পড়ুন- রান্নার গ্যাসের বায়োমেট্রিক? লাইনে না দাঁড়িয়ে বাড়ি বসেই মুশকিল আসান! কীভাবে?
যদিও তৃণমূলের এই অভিযোগ সরাসরি নাকচ করেছে সিপিএম। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "পুলিশি তদন্তের আগেই বলে দিচ্ছে কে অভিযুক্ত। যে কোনও ঘটনা শোনবার আগে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওদের দলের মধ্যেই গোলোযোগ। খুন নিঃসন্দেহ দুঃখজনক। এটা নিয়ে রাজনীতির চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেতারা। এই ঘটনায় সিপিএমের কোনও যোগ নেই।'' বিজেপিও এই ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের কোনও যোগ থাকার কথা অস্বীকার করেছে।