দলের মনোনীত প্রধান পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে বিজেপির সমর্থন নিয়ে নন্দীগ্রাম- ২ ব্লকের মহম্মদপুর গ্রাম- পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ল তৃণমূলের একাংশ! প্রধান পদে বহাল হয়েছেন মমতা 'ঘনিষ্ঠ' তৃণণূল নেতা শেখ সুফিয়ানের জামাই শেখ হাবিবুল ওরফে নান্টু। উপপ্রধান নির্বাচনে অবশ্য লড়াই হয় বিজেপি- তৃণমূলের মধ্যে। ফলাফল ড্র হলে টস করা হয়। তাতে জয়ী হন তৃণমূল সদস্যা সুপর্ণা পড়ুয়া (পন্ডা)।
এই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসনের সংখ্যা ১৮। তাতে তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। ১২ টি আসনে জয় পেয়েছে শাসক দল। আর বিজেপি পেয়েছিল ৬টি আসন। কিন্তু বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠনের সময় বদলে যায় চিত্রটা। তৃণমূলের মনোনিত প্রার্থীকে না পসন্দ ঘোষণা করেন তৃণমূলের ৬ সদস্য। আর ভোটাভুটি হলে সেই তৃণমূলের 'বিক্ষুব্ধ' গোষ্ঠীকে সমর্থন করে বসেন বিজেপি-র ৬ প্রার্থী।
তৃণমূলের এই 'বিক্ষুব্ধ' দলে ছিলেন তাতেই জয়ী হন সুফিয়ানের জামাই হাবিবুল।
বিজেপির সমর্থন নিয়ে তৃণমূলের বোর্ড গঠন, তাও আবার নন্দীগ্রামের মতো জায়গায়! আবার সেই পঞ্চায়েতের প্রধান কিনা শেখ সুফিয়ানের জামাই! ফলে নন্দীগ্রামে মহম্মদপুরের নয়া এই রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক।
তৃণমূল সূত্রের খবর, মহম্মদপুরের মতো আরও একাধিক পঞ্চায়েতে রয়েছে যেখানে দলীয় নির্দেশকে অমান্য করা হয়েছে। বিজেপি বিরোধী বোর্ড গঠনে বার্তা দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। অভিযোগ, যা অগ্রাহ্য করেছেন তৃণমূলের একাধিক সদস্য। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলির তৃণমূল সদস্যদের বিষয়ে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে এবং তা দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র।