রবিবার সকালেই উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে ছুটে এসেছিল গুলি-বোমা। ওই নেতা সদ্য চায়ের দোকানে ঢুকেছিলেন। গুলি পিঠ ছুঁয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় অল্পের জন্য রক্ষা পান জগদ্দলের ওই নেতা। কিন্তু, ভাগ্য অতটা ভালো ছিল না দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের সাধন মণ্ডলের। আঁধারমানিক গ্রামের তৃণমূল বুথ সভাপতি সাধনবাবু সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ চায়ের দোকানে ঢুকেছিলেন। ভাইপো ও অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে বসে দোকানে চা-ও খাচ্ছিলেন।
আচমকা অন্ধকার ফুঁড়ে বাইকে চেপে আসে তিন দুষ্কৃতী। চায়ের দোকানে উপস্থিত সকলকে অবাক করে দিয়ে তারা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে। অস্ত্র দেখে বাকিরা দৌড়ে পালালেও সাধনবাবুকে পালাতে দেয়নি দুষ্কতীরা। চায়ের দোকানে চায়ের গ্লাস হাতে বসে থাকার সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতী। দূর থেকে প্রায় আটটি গুলির শব্দ শুনেছেন বাসিন্দারা।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সাধনবাবু। এরপর দুষ্কৃতীরা বাইকে চেপে চলে যায়। বাইকের শব্দ দূরে চলে গেলে, এলাকার যুবকরা ওই চায়ের দোকানের সামনে ফিরে আসেন। গুলিবিদ্ধ সাধনবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন- চায়ের দোকানে ঢুকতেই তৃণমূল নেতাকে পরপর গুলি, রোমহর্ষক-কাণ্ডে হুলস্থূল
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আঁধারমানিক গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৮ এবং ২১৯ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথ সভাপতি ছিলেন সাধন মণ্ডল। তাঁর ভাইপো জানিয়েছেন, 'কাকা এলাকায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। সেই জন্যই তাঁকে খুন হতে হল।' ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। এই খুনের ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক শত্রুতা রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছেন বিষ্ণুপুর থানার তদন্তকারীরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন আশপাশ অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীরা। তাঁরা অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।