দিন কয়েক আগেই বাংলার দলীয় নেতৃত্ব নিয়ে গরম গরম কথা বলেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তার আগেই ছেড়েছিলেন দলবের রাঢ়বঙ্গের সভাপতির পদ। পদ্ম শিবিরের অন্দরের যা নিয়ে নানা গুঞ্জন। তিন বছর আগে কেই অন্যদল থেকে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়ে কীভাবে সংগঠন নিয়ে এত কথা বলতে পারেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির আদি নেতৃত্ব। সৌমিত্র এহেন আচরণকে কটাক্ষ করেছেন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। চাঁচাছোলা ভাষায় বিষ্ণুপুরের সাংসদকে 'লোভী' বলে সম্বোধন করেছেন তিনি। সৌমিত্র রাজনীতি থেকে অনের দূরে থাকা উচিত বলেও মনে করেন সুজাতা।
কী বলেছেন সুজাতা?
কালী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সুজাতা। সেখানেই তাঁকে সৌমিত্রর রাজনীতি সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হলে সুজাতা বলেন , ‘উনি সর্বত্র গুরুত্বহীন। যে দলে যখন থাকেন সেই দলকেই পাগল করে দেন। তিনি যখন তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উল্টো-পাল্টা কথা বলেছেন। এখন তিনি যে দলে আছেন সেই দলের বিরুদ্ধে বলছেন।'
বিজেপিতে কেন গুরুত্ব কমছে সৌমিত্রর? সুজাতার জবাব, 'নিশ্চয় গুরুত্ব না পাওয়ার মত কিছু করেছেন।'
বিজেপি সাংসদ স্বামী সৌমিত্রকে নিশানা করে তৃণমূল নেত্রী স্ত্রী সুজাতার দাবি, 'রাজনীতি করছি মানেই আমার পদ চাই, জাগয়া চাই। আমার চাই-চাই-চাই এই মানসিকতা থাকলে আমার মনে হয় দূরে থাকাই ভাল। কারণ রাজনীতি পাওয়ার জাগয়া নয়। মানুষের কাজের জায়গা। আজকে যারা দেশবরেন্য রাজনীতিবীদ রয়েছেন তাঁদের দেখলেই আমরা বুঝব তাঁরা যে উচ্চতায় পৌঁছেছেন তাঁদের গোটা জীবন চলে গিয়েছে। সেখানে কেউ যদি অল্পদিনে এসে অনেক কিছু পেয়ে যান আমার মনে হয় তখনই তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে বা পাগলামিটা বাড়ে।'
গত সপ্তাহেই বঙ্গ বিজেপির কোর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানে স্থান হয়নি সৌমিত্র খাঁর। ফলে তীব্র অসন্তুষ্ট বিষ্ণুপুরের সাংসদ। দল এভাবে চললে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আদৌ জেতা সম্ভব নয় বলে দাবি করেছিলেন তিনি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে 'শিক্ষানবিশ' বলে দেগে গিয়েছিলেন। সাফ জানিয়েছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ ছাড়া তাঁর উপর কোনও নেতৃত্বকে সৌমিত্র খাঁ মানবেন না। তবে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অমিত শাহর প্রশংসা করে জানিয়েছিলেন তিনি বিজেপি ছাড়বেন না।