এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত হলেন তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের এক উপপ্রধান। গত ৩১ জানুয়ারির এই ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুরের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। প্রহৃত মহিলা তাদের দলের সমর্থক বলে দাবি বিজেপির। এই ঘটনাকে তুলে ধরে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে জোড়া-ফুল শিবিরকে কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
প্রহৃত স্মৃতিকণা দাসের দাবি, তাঁর জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণ চলছিল। তার প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। এরপরই নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমল সরকার ও তাঁর দলবল মহিলার পা বেঁধে মারতে শুরু করেন। ওই অবস্থাতেই তাঁকে বেশ কয়েক মিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। উপপ্রধান অমল সরকারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন প্রহৃত মহিলা। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্মৃতিকণা দেবী। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে।"
রাস্তা নির্মাণ ঘিরে ঝামেলার সূত্রপাত বলে অভিযোগ
আরও পড়ুন: ‘ছত্রধর কেন এতদিন জেলে থাকল? জবাব দিক মমতা’
বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ অমল সরকারের বহিষ্কার প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "আমরা তদন্ত করছি। সেই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত উপপ্রধানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।"
এদিকে, প্রহৃত স্মৃতিকণা দাসকে তাদের দলের কর্মী বলে দাবি করেছে বিজেপি। বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, "আমাদের দলের কর্মী স্মৃতিকণাকে বেশ কয়েকবার মারা হয়েছে। কেবলমাত্র তৃণমূলই আমাদের দলের কর্মীদের উপর এই জাতীয় ভয়ঙ্কর আক্রমণ চালাতে পারে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে চরম দুরবস্থা, তা এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট।"
Read the full story in English