ডান্স বারে নর্তকীর উদ্দাম নাচে মোহিত তৃণমূল নেতা। নর্তকী নাচছেন স্টেজে, নীচে কোমর দোলাচ্ছেন তৃণমূল নেতাও। মুহূর্তের মধ্যে গোছা-গোছা টাকা বের করে নর্তকীর উদ্দেশে ছুঁড়তে দেখা গেল জোড়াফুলের ওই নেতাকে। শাসকদলের এক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামী তথা তৃণমূলের হোমড়াচোমড়া ওই নেতার এই ভিডিও ভাইলার হতেই নিন্দার ঝড়। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।
পূর্ব বর্ধমানের কালনা ১ নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্রাবনী পালের স্বামী বিশ্বজিৎ পাল। এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বলেই পরিচিত বিশ্বজিৎ। ওই নেতারই এমন কীর্তির ভিডিও ভাইরাল হতেই রাজনৈতিকর মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে ওই ভিডিও দেখার পর নেটিজেনরাও যেমন নিন্দায় মুখর হয়েছেন তেমনই বিরোধীরাও ওই তৃণমূল নেতার কড়া সমালোচনা করেছেন। আর তাতেই অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছেন শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্ব। এই ঘটনা নিয়ে এদিন বিশ্বজিৎ পালকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এমনকী সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাঁর বাড়িতে গেলেও স্বামী বা স্ত্রী কারও দেখা পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ডান্স বারে গিয়ে দলের নেতার নর্তকীর দিকে টাকা উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়া নিয়ে ক্ষোভ চেপে রাখেননি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শান্তি চাল। তিনি বলেন,“বিশ্বজিৎ পাল তৃণমূলের ব্লক কমিটির একজন সদস্য। ওঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে বলে শুনেছি। এটা একটা খারাপ বার্তা। দলীয় স্তরে ওঁর এসব কীর্তিকলাপের তদন্ত হবে। তাতে উনি দোষী প্রমাণিত হলে দল বরদাস্ত করবে না।”
আরও পড়ুন- কলকাতা থেকে বাঁকুড়া এবার আরও সহজে, বড় উদ্যোগ রেলের
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা সুভাষ পাল বলেন, “এই রাজ্যের তৃণমূল সরকার সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য ডিএ দিতে পারছে না। কিন্তু শাসক দলের নেতাদের কাছে যে কাটমানির টাকা আছে সেটা ওরা এখন ডান্স বারে গিয়ে ওড়াচ্ছেন। এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের মহিমা ।” সিপিএম নেতা সুকুল শিকদার বলেন, “পরিশ্রম করে রোজগার করা টাকা নয় বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।”
২২ সেকেন্ডের ওই ভাইরাল ভিডিও ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় কালনার রাজনৈতিক মহলে। ভিডিও-য় দেখা যায় রংবেরংয়ের আলোর ঝলকানির মধ্যে চটুল হিন্দি গানের তালে নাচছেন এক নর্তকী। আর ওই নর্তকীর সামনে কোমর দুলিয়ে নাচতে নাচতে তার দিকে গোছা গোছা টাকা উড়িয়ে দিচ্ছেন কালনার তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ পাল ওরফে পচা। ওই নেতার এমন ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। এই ঘটনা নিয়ে শাসক দলের অন্দরেও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের মনোনীত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামী তথা ব্লক তৃণমূলের নেতার এমন কীর্তিতে যথেষ্টই অস্বস্তিতে কালনার শাসক শিবির।
আরও পড়ুন- ‘তারার ছায়া’য় স্মৃতির সমাহার, অপূর্ব-কীর্তিতে চাগিয়ে উঠছে ইতিহাস-প্রেম