সারদা-নারদ মামলায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম থাকলেও কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না? গত কয়েকদিন ধরেই এই প্রশ্নে সরব তৃণমূল। শুভেন্দুকে গ্রেফতারেরও দাবিতে জানিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। দাবিপূরণে সোমবারই কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্স, হলদিয়া ও কাঁথিতে সভা করেছে তৃণমূল। এবার দাবি আদায়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন জোড়া-ফুলের প্রতিনিধি দল।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছেগিয়েছেন তৃণমূলের আট সদস্যের যে এক প্রতিনিধিদল। এই প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এছাড়াও আছেন, মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধায়ক তাপস রায়, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক ফিরোজা বিবি সহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য, আগেই সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের মুখে শোনা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর নাম। দিন কয়েক আগেও বিধানগরের এমপি-এমএলএ আদালতে একটি মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। তখন তাঁর কাছ থেকে শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার দাবি করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। যা তুলে ধরে বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার তৃণমূল। নিশানা করা হয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছিলেন যে, ‘এরপরও শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা না হলে বুঝব রাজ্যপাল তাঁকে সুরক্ষা দিচ্ছেন।’
আরও পড়ুন- ‘মমতা-ই মা সারদা’, সময়-সংখ্যাতত্ত্ব মিলিয়ে দাবি করলেন ‘দিদির সৈনিক’ নির্মল মাজি
গত শুক্রবার মেট্রোপোলিটানের দলীয় দফতরে এই ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন কুণাল ঘোষ ও তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন, কী কারণে সারদা কর্ণধারের থেকে টাকা নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী? সুদীপ্ত সেনের বয়ানের ভিত্তিতে তদন্তের স্বার্থে কেন বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতার করা হবে না? রাজ্যপাল কেন সুদীপ্ত সেনের দাবি নিয়ে নীরব?