বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। চব্বিশের মহারণের আগে বড় ধাক্কা তৃণমূল কংগ্রেসের। জাতীয় দলের তকমা হারাল পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল। ভিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের ফলে চার রাজ্যে স্থানীয় দলের তকমা না থাকায় জাতীয় দলের মর্যাদা কেড়ে নিল নির্বাচন কমিশ। এখন থেকে শুধুমাত্র আঞ্চলিক দল হিসাবে পরিচিতি থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের। এর ফলে তৃণমূলের জাতীয় রাজনীতিতে ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এর মূল্য কড়ায় গণ্ডায় চোকাতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে কী প্রয়োজন?
দলটিকে অন্তত তিনটি ভিন্ন রাজ্য থেকে লোকসভায় ২% আসন জিততে হবে। অথবা, দলটিকে লোকসভা বা বিধানসভার নির্বাচনে যে কোনও চার বা ততোধিক রাজ্যে ৬% ভোট পেতে হবে। পাশাপাশি, চারটি লোকসভা আসনে জয়ী হতে হবে। অথবা, দলটিকে চারটি রাজ্যে একটি রাজ্য দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হবে।
রাজ্যদলের স্বীকৃতির জন্য কী প্রয়োজন?
দলটিকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে অন্তত পাঁচ বছরের জন্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। শে, লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতি ২৫ জন সাংসদের মধ্যে অন্তত ১ জন সাংসদ ওই দলের হতে হবে। অথবা, এই সংখ্যার ভগ্নাংশ সংশ্লিষ্ট রাজ্য থেকে হতে হবে। অন্তত ১ জন বিধায়ক প্রতি ৩০ জন সাংসদের মধ্যে ওই দলের হতে হবে অথবা এই সংখ্যার ভগ্নাংশ সংশ্লিষ্ট রাজ্য থেকে হতে হবে।
আরও পড়ুন ‘এক্সপ্রেস থেকে লোকাল’ তৃণমূল, সুযোগ পেয়েই এক রা বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের
জাতীয় দলের তকমা হারানোয় কী কী সমস্যায় পড়তে হবে তৃণমূলকে?
- ইভিএম বা ব্যালট পেপারে জাতীয় দলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখা যাবে না তৃণমূলের প্রতীক বা চিহ্নকে।
- দলের নামের আগে আর সর্বভারতীয় শব্দ ব্যবহার করা যাবে না।
- নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে জাতীয় দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানায় কমিশন। তৃণমূলকে আর আমন্ত্রণ জানাতে বাধ্য থাকবে না নির্বাচন কমিশন।
- জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারানোয় আর্থিক অনুদানের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের ফারাক লক্ষ্য করা যাবে। অর্থের জোগান কমলে তৃণমূলের জাতীয় রাজনীতিতে কাণ্ডারীর ভূমিকা নেওয়া ধাক্কা খাবে।
কমিশনের এই পদক্ষেপের পর আইনি পথে লড়াইয়ের ভাবনায় তৃণমূল। জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।