আস্থা ভোটে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হল রাজ্য়ের শাসকদল তৃণমূলের। আস্থা ভোটে তৃণমূলকে টেক্কা দিল কংগ্রেস। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দেন দুই নির্দল কাউন্সিলর। দুই নির্দলের সমর্থন পেয়ে আস্থা ভোটে জয়ী কংগ্রেস। ৫ তৃণমূল কাউন্সিলরই আস্থাভোটে এদিন হাজির ছিলেন না।
আস্থা ভোটে তৃণমূলের থেকে ঝালদা পুরসভা ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস। দুই নির্দল কাউন্সিলর এদিন তাঁদের সমর্থন দেন কংগ্রেসকে। ঝালদার মোট আসন ১২টি। পুরবোর্ড দখলে রাখতে ম্যাজিক ফিরাগ ছিল ৭। কংগ্রেসের ছিল পাঁচটি আসন, দুই নির্দলের সমর্থন পেয়ে কংগ্রেস ঝালদায় ৭টি আসনে ক্ষমতা দখল করে। তৃণমূলের হাতে রয়েছে ৫টি আসন। তবে এদিন আস্থা ভোটে শাসকদলের কোনও কাউন্সিলরই অংশ নেননি।
নদিয়ার তাহেরপুরের পর ফের বিরোধীদের দখলে গেল আরও একটি পুরসভা। পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে ঝালদার এই ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের চিন্তা বাড়ল। ঝালদার পুরভোটে ত্রিশঙ্কু ফল হয়েছিল। বোর্ড কারা দখল করবে তা নিয়েই জোর জল্পনা ছড়িয়েছিল। পরে দুই নির্দল কাউন্সিলরকে নিয়ে গুঞ্জন ছড়ায়। পরে এক নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে নাম লেখান। সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে ঝালদা পুরবোর্ড দখল করে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- যত কাণ্ড শুভেন্দু গড়েই! তৃণমূলকে হারাতে বেনজির পদক্ষেপ রাম-বামের
এদিকে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের পর তাঁর আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হন তাঁরই ভাইপো মিঠুন কান্দু। তবে পরিস্থিতির বদল হয় এরও পরে। তৃণমূলের নেতাদের কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে সমর্থন তুলে নেন নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। এরপরেই জোড়াফুলের ক্ষমতায় থাকা ঝালদা পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়। শেষমেশ বোর্ড ধরে রাখতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল।
শেষমেশ হাইকোর্টের নির্দেশেই পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় আজ আস্থাভোটের দিন ধার্য হয়। তলবি সভার পর আজই হয় আস্থা ভোট। তবে শুরু থেকেই ঝালদায় বোর্ড দখলের ব্যাপারে আশাবাদী ছিল কংগ্রসে। কারণ তলে-তলে তাঁরা দুই নির্দল কাউন্সিলরের সঙ্গে বোঝাপড়া সেরে রেখেছিল। দুই নির্দলই যে কংগ্রেসের পক্ষে থাকতে চলেছে তার আন্দাজ সম্ভবত আগেই পেয়ে গিয়েছিল তৃণমূলও। সম্ভবত সেই কারণেই এদিন ঝালদার আস্থা ভোটে দেখা মেলেনি ৫ তৃণমূল কাউন্সিলরের। পরে আস্থা ভোট হলে দুই নির্দলের সমর্থন নিয়ে ঝালদা পুরবোর্ড দখল করে কংগ্রেস।