TMC Sanghati Rally: অযোধ্যায় রামসলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, 'রাম শক্তি, আগুন নয়। রাম কোনো বিরোধ নয় বরং সমাধান। তিনি বর্তমান নন, তিনি অনন্ত। তিনি আমাদের ভারতের ভিত্তি ও ধারণা।' পাল্টা সোমবার কলকাতায় সংহতি মিছিল করল তৃণমূল। যার নেতৃত্ব দিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন অভিষেকও। হাজরা থেকে পার্কসার্কাস পর্যন্ত সংহতি যাত্রা হয় তৃণমূলের। মিছিল শেষে বর্কব্য পেশ করেন তৃণমূলের 'সেনাপতি' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পার্কসার্কাসে দাঁড়িয়ে রামমন্দির উদ্বোধনের দিনেই ৩১ বছর আগের স্মৃতিচারণা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। টেনে আনলেন বাবরি মসজিদ ভাঙার কথা ও সেদিন তাঁর ভূমিরা।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ভোটের আগে ধর্মে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। বাংলাকেই এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। আগুন জ্বালানো সহজ, নেভানো সহজ নয়।' সোমবার সকলা থেকেই দেশবাসীর চোখ ছিল অযোধ্যায়। সেখানে জমকালোভাবে রামমন্দিরের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদী। যাকে কটাক্ষ করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, 'সকাল থেকে যা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রাম হচ্ছে এমন প্রচার শুরু হয়েছে। কিন্তু এর পরের দিন থেকে কী হবে?'
আরও পড়ুন- Ram Rajya: শুধু মোদীই নন, গান্ধীজিও বলেছিলেন রাম রাজ্যের কথা, রামকে শ্রদ্ধা করতেন মহাত্মাও
রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানের বিপুল খরচ নিয়ে মমতা বলেন, 'এরা খাবার পয়সা দেয় না। রাস্তার পয়সা দেয় না। বাংলা থেকে করের টাকা তুলে নিয়ে চলে যায়। আর আজ দেখুন সব জায়গায় এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে, সাজিয়ে গুছিয়ে কী করেছে। আমি বলব, গরিবদের বলি দিয়ে ধর্ম করবেন না।'
কেন রামমন্দিরে রামের পাশে সীতা নেই সেই প্রশ্নও এদিন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির নারী বিদ্বেষ নিয়েও কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'সীতা ছাড়া রাম হয় না, ওরা তাহলে কিন্তু সীতার নাম নেয় না কেন? ওরা কী নারী-বিরোধী। '
রাম আবেগের পাল্টা নেতাজি আবেগকে চাগিয়ে তুলতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'বেচারা নেতাজি। এত লড়াই করলেন স্বাধীনতার জন্য। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের জন্মদিনে ওদের জাতীয় ছুটির দিবস ঘোষণা করতে বলেছিলাম। বলে দিয়েছিল হবে না। আর আজ ওরা ছুটি চাইছে। ছুটি দিচ্ছে। কারণ আজ নাকি ওদের স্বাধীনতার দিন। জানি না, ওরা নতুন করে কী স্বাধীনতা পেয়েছে। ওদের কি রাজনৈতিক স্বাধীনতার দিন? যদিও স্বাধীনতা আন্দোলনে এদের কারও টিকিটিও ছিল না। আর আজ ওরা বলছে সবাইকে ছুটি দিয়েছি। বাড়িতে থাকো আর আমাদের কথা শোনো।'
এরপরই ৩২ বছর আগের স্মৃতিচারণা করেন মমতা। ওইসময় তাঁর ভূমিকা মনে করিয়ে দিতে তিনি বলেন, 'যখন বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল, আমি একা পথে নেমেছিলাম। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কাছে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম, কোনও প্রয়োজন আছে কি না। ভয় না পেয়ে সমস্ত জায়গায় গিয়ে ত্রাণ দিয়ে এসেছিলাম। এসব অনেকে ভুলে গিয়েছে।'
বিজেপিকে তৃণমূল নেত্রীর হুঁশিয়ারি, 'একটা লড়াই শুরু হয়েছে। আর এই লড়াই চলবে। আমরা না ভয় পেয়ে লড়ব। আমরা কাপুরুষ নয়। তাই আমরা লড়ব। '