একুশের শহিদ স্মরণ সমাবেশকে অনেকে কটাক্ষ করেন ডিম্ভাত দিবস হিসাবে। কারণ, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের নাকি সভার পর ডিম ভাত খেতে দেওয়া হয়। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম-ঠাট্টার ছড়াছড়ি। তবে এবছর ডিম-ভাত আছে কি না জানা নেই, কিন্তু কর্মীদের জন্য বিরিয়ানির বন্দোবস্ত রয়েছে।
Advertisment
শিখ খালসা সংগঠনের তরফে স্বেচ্ছাসেবকরা দূর-দূরান্ত থেকে আগত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের জন্য বিরিয়ানির ব্যবস্থা করেছে। অন্তত ২০-২৫ হাজার কর্মী বিরিয়ানি খেতে পারবেন, এমনটাই জানিয়েছে সংগঠনের সদস্যরা। রয়েছে ২০ হাজার লিটার পানীয় জলের ব্যবস্থা। খাওয়া-জলের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা সুনিশ্চিত করেছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের তরফে খিচুরি, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে পিকনিকের মেজাজ। ত্রিপল খাটিয়ে চলছে রান্নার আয়োজন। করছেন তৃণমূলের কর্মীরাই। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে বাস-গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। আর সেখানেই চলছে এলাহি খানাপিনার আয়োজন।
প্রসঙ্গত, কলকাতার সব রাস্তা আজ ধর্মতলামুখী। শিয়ালদহ স্টেশন পেরিয়ে মৌলালি হয়ে এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে বিপুল সংখ্যায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের গন্তব্য ধর্মতলা। একসঙ্গে এত মানুষ রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার জন্য বাধ্য হয়েই শিয়ালদহ-মৌলালি-এসএন ব্যানার্জি থেকে ধর্মতলায় যাওয়ার রাস্তায় গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।