রামপুরহাটের বগটুইয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ককে দেখেই মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলেন বগটুইকাণ্ডে নিহদের আত্মীয়রা। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা জোড়াফুলের স্থানীয় নেতৃত্বের।
বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। পৈশাচিক ওই হত্যালীলায় নিহতদের সম্মানার্থে মঙ্গলবার বগটুই গ্রামে তৃণমূলের তরফে বিশেষ একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেই কর্মসূচিতেই কাটল তাল। মঙ্গলবার সকালে ওই কর্মসূচি পালনে তৃণমূলের নেতারা গ্রামে গেলেই ছড়ায় বিপত্তি। যদিও তৃণমূল নেতাদের সবাইকে গ্রামে ঢুকতে দিয়েছেন বাসিন্দারা। বিপত্তি বাধে রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় যেতেই।
বগটুইকাণ্ডে এক নিহতের আত্মীয় সরাসরি বলে দেন, 'আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢুকতে দেব না।' এমনকী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এক নিহতের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলেও তাঁর মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলেও জানা গিয়েছে। রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে এই বগটুই গ্রাম। বগটুইয়ের ঘটনায় এক নিহতের আত্মীয়ের অভিযোগ, নৃশংস ওই ঘটনার পর থেকে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় স্বজনহারা পরিবারগুলির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেননি।
আরও পড়ুন- ‘স্যার আমাদের ছেড়ে যেও না’, মাস্টারমশাইকে জড়িয়ে হাউহাউ করে কান্না খুদে পড়ুয়াদের
এদিন দলের বিধায়ককে নিয়ে এমন ক্ষোভের বহর দেখে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়ে যান স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও। তাঁরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টাও করেন। পরে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেন, 'ওই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী ও ফিরহাদ হাকিম এখানে এসেছিলেন। তখন আমিও সেখানে ছিলাম। পরে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। স্বাভাবিক কারণেই তাই আর আসিনি। সতর্ক ভূমিকা পালন করতে হয়েছিল। আমার আসা নিয়ে যাতে কোনও কথা না ওঠে সেই কারণেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।'