প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
তমোনাশ ঘোষের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'খুব খুব কষ্টের। তিনবারের বিধায়ক ও ১৯৯৮ সাল থেকে দলের কোষাধক্ষ পদের দায়িত্বে থাকা তমোনাশ ঘোষ আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। উনি ৩৫ বছরের বেশি সময়ে আমাদের সঙ্গে ছিলেন, মানুষ ও দলের সেবায় কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সামাজিক কর্মকাণ্ডে তাঁর অবদান অতুলনীয়।'
টুইটে শোকজ্ঞাপণ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও।
গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফলতার তৃণমূল বিধায়কের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, 'চিকিৎসকরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তমোনাশ ঘোষ বাঁচবে কিনা জানি না।' নবান্নে বলে মুখ্যমন্ত্রীর সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। রাজ্যে এই প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে কোনও বিধায়কের মৃত্যু হল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তমোনাশ ঘোষ। ২০০১ সালে থেকে প্রথম ফলতা বিধায়ক হন তিনি। তিনবার ফলতার বিধায়ক নির্বাচিত হন তমোনাশবাবু। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তৃণমূলের কোষাধক্ষের দায়িত্ব ছিল তমোনাশ ঘোষের কাঁধেই।
অসুস্থ বোধ করায় ২২ মে তাঁর নমুনা পরীক্ষা হয়। রিপোর্টে ধরা পড়ে তিনি করোনা পজিটিভ। বাইপাসের এক হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকায় শুরু থেকেই ভেন্টিলেশন সহায়তায় ছিলেন তিনি। একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল ফলতার তৃণমূল বিধায়কের। শেষ পর্যন্ত করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে হার মানেন তিনি।
তমোনাশ ঘোষের পরিবারের দুই সদস্য সহ ঘনিষ্ট বেশ কয়েকজন সংক্রমিত হয়েছিলেন। তবে চিকিৎসার পর তাঁরা সুস্থ রয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন