রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে কয়লা, গরু পাচারের অভিযোগে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে বিরোধী দল সিপিএম। প্রাক্তন শাসক দলের নেতা-কর্মীদের লাগাতার আক্রমণের নিশানা যখন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। তখন আসানসোলের পাণ্ডবেশ্বরে দেখা গেল ভিন্ন ছবি। সৌজন্যের নজিরও বলা যায়। সিপিএম পার্টি অফিসে জাতীয় পতাকা তুললেন তৃণমূল বিধায়ক।
Advertisment
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে নবগ্রামে সিপিএমের শাখা দফতরে গিয়ে তিরঙ্গা উত্তোলন করেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক এদিন ওই পার্টি অফিসের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাঁকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ডাকেন সিপিএম কর্মীরা। বিধায়ক তখন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তিরঙ্গা মিছিলে বেরিয়েছিলেন। তাঁর গাড়ি দাঁড় করিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আমন্ত্রণ জানান সিপিএম কর্মীরা। এর পর পার্টি অফিসের সামনে তিরঙ্গা উত্তোলন করেন নরেন্দ্রনাথ।
বিধায়ক বলেছেন, "ওঁরা এখানে সিপিএম করলেও আমার ছোট ভাইয়ের মতো। পতাকা তোলা হয়নি, তাই দাঁড়িয়েছিলেন। আমাকে ডাকলেন ওঁরা। আমি এসে পতাকা তুললাম। আজ স্বাধীনতা দিবস। আজ কোনও রাজনৈতিক বিভেদ নেই। আমরা সবাই ভারতীয়। এটা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একসময়ে চুলের মুঠি ধরে মহাকরণ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বাম নেতাদের ফিশ ফ্রাই খাইয়ে আপ্যায়ণ করেছিলেন।"
তৃণমূল বিধায়কের পতাকা উত্তোলন প্রসঙ্গে সিপিএমের নবগ্রাম শাখার সম্পাদক হাবিবুল শেখ বলেছেন, "আজকে একটা আলাদা দিন। বিধায়ক জাতীয় পতাকা তুলেছেন। সেজন্য আমরা ধন্যবাদ জানিয়েছি। আজকে কোনও রাজনীতি নয়।" সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এটাই গ্রামের রাজনীতি। সবাই মিলেমিশে থাকেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ভুল কিছু নয়। উনি সবার বিধায়ক।"