আয়কর তল্লাশিতে প্রাক্তনমন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি-দফতর থেকে উদ্ধার হয়েছে ১১ কোটি। যা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে তোলপাড় পড়েছে। বিরোধীদের নিশানায় তৃণমূল। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন। কেন তাঁর বাড়ি ও দফতরে কোটি কোটি টাকা থাকে তারই ব্যাখ্যা দিয়েছেন জাকির।
কী বলেছেন জাকির হোসেন?
বুধবার দিনভর তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বিড়ি কারখানা, চাল ও তেলকলে তল্লাশি চালায়। এছাড়াও তাঁর বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দফতরেও চলে অভিযান। ছাড় যায়নি বাড়িও। দিল্লি ও কলকাতার দফতরেও তল্লাশি হয় বলে সূত্রের খবর। এতেই উদ্ধার হয়েছে ১১ কোটি নগদ। এইসব অর্থের উৎস কী? কেন বাড়িতে রাখ হল বিপুল পরিমান এই টাকা? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
অতর্কিতে এই তল্লাশিতে 'ক্ষুব্ধ' তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন। বিশদে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জাকির বলেছেন, 'আমার চারটে বিড়ির সংস্থা রয়েছে। সেইসব কারখানায় ৭ হাজার শ্রমিক এখানে কাজ করেন। তাঁদের বেতন নগদেই দিতে হয়। বিড়ির মশলাও নগদেই কেনা হয়। রাইস মিলও রয়েছে। সেখানেও তল্লাশি হয়েছে। চাষের জায়গায় সব নগদে কারবার হয়। নগদ টাকা দিয়েই শস্য কিনতে হয়। তাই বাড়িতে বাধ্য হয়ে টাকা রাখতে হয়। তাই এতো টাকা বাড়ি ও অফিসে ছিল। এছাড়া নানা কারণে ব্যবসায়ীর বাড়িতে নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আইনের জালে সবকিছু জড়িয়ে ফেললে তো ব্যবসা লাটে উঠবে।'
একই সঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি, 'টাকা না পেলে আবার চাষিরা না বিক্ষোভে যান।'
তল্লাশিতে টাকা উদ্ধার নিয়ে তিনি যে আদালতের দ্বারস্থ হবেন সেটাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন জাকির হোসেন। এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেও অনুমান তাঁর। জাকিরের কথায়, 'আমি জেলার সর্বোচ্চ করদাতা। গত ২৩ বছর ধরে কর দিয়ে ব্যবসা করছি। আগে থেকে আয়কর দফতর জানতে চাইলেই হিসাব দিয়ে দিতাম।'