৬৫ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা, তারপর সোমবার ভোরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। ছেলের গ্রেফতারের খবর পৌঁছেছে বীরভূমের সাঁইথিয়ার বাড়িতে। এরপরই সেখানে যেন ‘হাঁফ ছেড়ে বাঁচা’র অবস্থা। ছেলের গ্রেফতারিতে কার্যত স্বস্তিতে তৃণমূল বিধায়কের বৃদ্ধ বাবা বিশ্বনাথ সাহা সহ পরিবারের অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন- চাকরি ‘বিক্রি’ চক্রে যুক্ত আরও ৮-১০ বিধায়ক? জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জেরায় বিস্ফোরক তথ্য!
ছেলে জীবনের গ্রেফতারির পরই এদিন মুখ খুলেছেন বিশ্বনাথ বাবু। বিস্ফোরক বৃদ্ধ। তিনি বলেছেন, ‘মিড ডে মিলের একটি টেন্ডারে আমি রেশন ডিলার হিসাবে দরপত্র দিয়েছিলেন। আমার নাম তালিকায় ছিল উপরের দিকে। সেই সময়ে ছেলে আমাকে টাকা দিতে বলেছিল। বলেছিল টাকা দিলেই মিলবে টেন্ডার । নইলে কাঁচি হয়ে যাবে আমার নাম।’ কিন্তু ছেলের এই বেআইনি আবদারে রাজি হননি বৃদ্ধ। বিশ্বনাথ সাহার কথায়, ‘আমি টাকা দিইনি বলে ওন্য একজনের থেকে টাকা খেয়ে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিল জীবন। এক সপ্তাহ আগে আমায় মার্ডার করারও হুমকি দিয়েছিল।’
আরও পড়ুন- বড় স্বস্তি অভিষেকের, ED-CBI-য়ের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
বিধায়কের ‘কুকীর্তি’তে নাজেহাল তাঁর নিকট আত্মীয়রা। জীবনকে যখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অধীনে ঠিক তখনই বীরভূমের বাড়িতে বসে বৃদ্ধ বিশ্বনাথ স্পষ্ট বললেন, ‘ওকে ত্যাজ্যপুত্র করেছি। ওকে আমি আর আমার ছেলে বলে মনেই করি না। আমার কাছে আমার ছেলে আর বেঁচে নেই।’