'আমার মুকুলের মতো অ্যালজাইমার্স হয়েছে। এসএসকেএম-এ গিয়ে কী বলেছি মনে নেই।' সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন কামারহাটির তণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এমনকী রাজনীতির মঞ্চ থেকে অবসর জল্পনাও রীতিমতো উসকে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রীর স্নেহভাজন 'কালারফুল মদন'।
ফের চর্চায় মদন মিত্র। সম্প্রতি বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত যুবককে ভর্তি করাতে নিজে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন মদন মিত্র। তবে মদন মিত্রের উপস্থিতিতেও ওই যুবককে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করানো যায়নি। বেড নেই বলে ফিরিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বেনজির ক্ষোভ উগরে দেন মদন। এমনকী তাঁর একাধিক মন্তব্য দলেরও অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন- ভ্যাপসা গরমে অসহনীয় পরিস্থিতি! প্রাণ জুড়োতে স্বস্তির বৃষ্টি কবে? রইল বিরাট আপডেট
পরবর্তী সময়ে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কথা বলেন মদন মিত্রের সঙ্গে। তারপরেই ১৮০ ডিগ্রি ভোলবদল মদনের। দলের বিরুদ্ধে সেই ক্ষোভের সুর আর নেই মদনের গলাতেও। বরং এই পর্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা ও রাজনৈতিক সন্যাসের কথা শেনা গেল মদন মিত্রের কথায়। এপ্রসঙ্গে মুকুল রায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মদন মিত্র। এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে তিনি যা বলেছিলেন সেই বিষয়টি নিয়েই তাঁকে ফের প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন- বজবজে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, রাতভর পুলিশি তল্লাশি গ্রামে-গ্রামে
উত্তরে এবার মদন মিত্র বলেন, 'আমি হ্যালুসিনেশনে ভুগছি। আমার মুকুলের মতো অ্যালজাইমার্স হয়েছে। এসএসকেএম-এ গিয়ে কী বলেছি মনে নেই। গাভাসকার, সচিন, ধোনিরা অবসর নিলে মদন মিত্র অবসর নেবে না কেন? যাঁরা রাজনীতি করে তাঁরাও তো অবসর নিতে পারে। অবসর নিলে বাচ্চাদের পড়াব। ছোটদের পড়াতে চাই, নিজেও পড়তে চাই। আমার মনে হচ্চে আমি ব্যাক ডেটেড হয়ে যাচ্ছি। বিধায়ক পদও ছেড়ে দেব। তবে তৃণমূল ছাড়ব না। আর মা মাটি মানুষও ছাড়ব না।'