এবার অবৈধ বালি পাচার হাতেনাতে ধরলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। রবিবার ভোর চারটের সময় তিনি তাঁর দেহরক্ষীকে নিয়ে চুপিচুপি গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাটে পৌঁছন। সেখানে তখন ৪টি নৌকা বোঝাই বালিমাটি নামানো হচ্ছিল। তাড়া করে দুটি নৌকাকে ধরলেও বাকি দুটি পালিয়ে যায়।
Advertisment
গুপ্তিপাড়া ফাঁড়িকে আগেই খবর দেওয়া ছিল। খবর পেয়ে সেখান থেকে পুলিশ চলে আসে। আটক করা হয় নৌকার মালিককে। দুটি নৌকাই আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মনোরঞ্জন বলেন, "আমার কাছে খবর ছিল যে ঐ ঘাট থেকে বালিমাটি পাচার হয়। গতকাল রাতেই ওই এলাকার কিছু লোক আমায় খবর দিয়েছিল। সেই মতো এদিন ভোর রাতেই আমার দেহরক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে আমি গুপ্তিপাড়া আসি। আসাম রোডে গাড়ি রেখে আমরা হেঁটে হেঁটে ঘাটে আসি যাতে কেউ বুঝতে না পারে।" তবুও ঠিক খবর হয়ে যায় জানান বিধায়ক।
উল্লেখ্য এর আগে বলাগড়ের সবুজদ্বীপে গিয়ে বেআইনি ভাবে বৃক্ষচ্ছেদন রুখে দিয়েছিলেন মনোরঞ্জন। সেই সময় এই ঘটনা নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, গুপ্তিপাড়া ও শান্তিপুরের মাঝে গঙ্গার বুকে বিশাল চর আছে। সেই চরের কাছ থেকেই বালিমাটি তুলে গুপ্তিপাড়া নিয়ে আসে বালি মাফিয়ারা। ওই ঘটনার জেরে আটক ব্যক্তি নৌকার মালিক। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান বলাগড়ের ওসি সমর দে।
মনোরঞ্জন জানান, কারা এই বালিমাটি তোলার পিছনে তা তিনি জানেন না তবে ধৃত ব্যক্তি গত বিধানসভায় বিজেপির হয়ে খেটেছিলেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। যদিও এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, সারা রাজ্যর মতো বলাগড়েও বালিমাটি পাচারের সঙ্গে তৃণমূল নেতারা জড়িত। এটা ওখানকার লোকেরা জানে। বিধায়কও বিলক্ষণ জানেন। তাই এর মধ্যে বিজেপিকে টেনে কোনও লাভ নেই। শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না।